ঢাকা
চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে টানা দুই ডাকাতির ঘটনায় চার
ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত
ধারালো অস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশ
সুপার নাজির আহমেদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,
চাঁদপুর জেলার মনপুরা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল হান্নান(৩৫),
লক্ষীপুর জেলার চরম মহান এলাকার মৃত সিরাজ মোল্লার ছেলে মোঃ শরিফ
হোসেন(৪৫), কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মৃত রমিজ
উদ্দিন হাজির ছেলে নজরুল ইসলাম (৬০), একই উপজেলার দোলায় নবাবপুর এলাকার
তাজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (৩৫)।
এ নিয়ে গত দুইদিনে
কুমিল্লায় মহাসড়কে ডাকাতিতের জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করলো
পুলিশ। এর আগের দিন (১১ মার্চ) দুপুরেও সংবাদ সম্মেলন করে দুই ডাকাতকে
গ্রেপ্তার ও দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের তথ্য দেয় জেলা পুলিশ।
বুধবার
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, ডাকাতির
ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনটি
ঘটনায় একই পিকআপ ব্যবহৃত হয়েছে। এমনকি ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাতরা একই দলের
সদস্য। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে
চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ডাকাত গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। গত কয়েকদিনে
বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টায় কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানা এলাকা থেকে
আালাউদ্দিন ও নজরুল এবং পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বিভিন্ন
স্থানে অভিযান পরিচালনা করে হান্নান ও শরিফকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ী, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লুণ্ঠিত মালামাল, অর্থ ও বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ
সুপার আরো জানান, ডাকাতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- কুমিল্লা, চাঁদপুর,
নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার ২০/২৫ জন ডাকাত তিন টি গ্রুপে মহাসড়কে ডাকাতি
কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারা বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে
প্রবাসীদের গাড়ী সম্পর্কে তথ্য পায়। মেঘনা টোল প্লাজা থেকে তারা প্রবাসীর
গাড়ীর পিছু নেয় এবং নির্জন স্থানে পিকআপ দ্বারা গাড়ীটিকে ব্যারিকেড দেয়।
তারা মূলত ৬/৭ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রের মুখে
প্রবাসীদের জিম্মি করে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুই
প্রবাসী বহনকারী ২টি গাড়ীর গতিরোধ করে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও
তাদের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম ঠিকানা বলেছে যা তদন্ত স্বার্থে প্রকাশ
করা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের ফাগুন করা এলাকায় একই স্থানে একই কৌশলে একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী ও
কুয়েত প্রবাসীর গাড়ীতে ডাকাতি হয়। এসব ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে
ভুক্তভোগীরা।