সম্প্রতি "দৈনিক আজকের জীবন" সহ
কয়েকটি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উপস্থাপন করে সংবাদ পরিবেশন
করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা , ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
মুলত একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার শিক্ষকতা জীবনের মান সম্মান ক্ষুন্ন
করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ সব চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তাই আমি
প্রকাশিত সংবাদটির ভিন্ন মত পোষণ করে সঠিক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্য
নিম্নে তুলে ধরলাম --
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত অডিট
কমিটিকে অসহযোগিতার বিষয়টি সঠিক নয়। ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল পর্যন্ত সকল তথ্য
দিয়ে আমি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করেছি । কমিটির প্রধান ২৭ ফেব্রুয়ারীর পর
১মাসের ট্রেনিং এ চলে যাওয়ার কারনে অডিট কার্য সমাপ্ত করে যেতে পারেন নি।
এই বিষয়টিকে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করছে ।
বেইস, ডায়েরি , আইডি কার্ডের হিসাব ম্যানেজিং কমিটির সাথে সমন্বয়ের
মাধ্যমে করা হয়েছে । পাশাপাশি এগুলো গরীব , অসহায় ছাত্রীদের বিনামূল্যে
/স্বল্প মূল্যে দেয়া হয়।তার পর কোম্পানির পাওনা মিটানোর পর অবশিষ্টাংশ
বিভিন্ন খাতে খরচ করা হয় । যেমন কোন শিক্ষক/কর্মচারীর বিয়ে / মৃত্যু
/অসুস্থতাসহ নানা কল্যানমুলক কাজে খরচ করাসহ অফিসিয়াল জরুরী কাজেও খরচ করা
হয় । এছাড়াও ম্যানেজিং কমিটি কিংবা কোন কর্মকর্তার আগমনে আপ্যায়ন বাবদ ও
স্কুলের মামলা সংক্রান্ত কাজে খরচসহ ডিজিটাল মেশিন / ডিভাইস ক্রয় /মেসেজ
ক্রয় বাবদ খরচ করার পর অবশিষ্টাংশ শিক্ষক/ কর্মচারীদের স্টাফ কাউন্সিলের
হিসাবে জমা দেয়া হয় । আর এই সকল কাজ ম্যানেজিং কমিটির জ্ঞাতসারেই করা
হয়েছে । অপরদিকে কোচিং ফি বন্টনও সম্মানিত ম্যানেজিং কমিটির পরামর্শে ই করা
হয়েছে । ২ জন অফিস সহকারী দিয়ে পরীক্ষার সময় বেতন , ফি আদায় করা মোটেই
সম্ভবপর নয় । এই কারনে পরীক্ষার সময় ছাত্রী /অভিভাবকদের কষ্ট লাঘব করার
জন্য শিক্ষকদের সহযোগিতা নেয়া হয়।
স্কুলের সকল প্রকার কেনাকাটা এবং
উন্নয়ন মূলক কাজ ম্যানেজিং কমিটি নিজেরা ই করেছেন এবং অডিট কমিটির মাধ্যমে
অডিট করিয়ে তা রেজুলেশনের মাধ্যমে অনুমোদন ও দিয়েছেন ।
শিক্ষক
/কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রতি মাসে স্ব স্ব একাউন্টে জমা হয়
এবং ব্যাংক থেকে সাথে সাথে মোবাইলে মেসেজ আসে । প্রশংসা পত্র, ছাড়পত্র,
প্রত্যয়নপত্র থেকে আয়ের সকল টাকা স্কুলের একাউন্টে নিয়মিত জমা করা হয়। বিগত
৫ আগস্টের আগে জনাব তাবারক উল্লাহ কায়েস সাহেবের স্বাক্ষরিত মামলা বাবদ ৫০
হাজার টাকার চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে কোন টাকা উত্তোলন করা হয় নি। উনার
মেয়াদের পর ই চেকটি বাতিল করে রেখে দেয়া হয়েছে ।
অথচ একটি মহল বিষয়টি
না জেনে সন্দেহ বশত: আন্দাজের উপর ভর করে অহেতুক লাকসামের প্রাচীন
ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে । এদের
এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি । আমি
এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।
রসরাজ দাস
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,
লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ,
লাকসাম, কুমিল্লা ।