কুমিল্লার
লাকসামে শনিবার (১৫ মার্চ) গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে দেশীয়
অস্ত্র, মাদক ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো,
লাকসাম পৌরসভার সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. খোরশেদ আলম,
গুনতি গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন অন্তর, কাদ্রা গ্রামের
মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে মো. সাফায়ত উল্লাহ, একই গ্রামের মো. আব্দুল
আজিজের ছেলে মো. সুজন মিয়া এবং উত্তর সাতবাড়িয়া গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের
ছেলে হুমায়ুন ফরিদ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা, ২টি চাপাতি,
একটি ছেনি (ধারালো অস্ত্র), একটি কাঁচি, একটি নোটবুক, ৫টি মোবাইল সেট, ৫টি
গ্যাস লাইট উদ্ধার করা হয়।
ওইদিন গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী (১:৩৫ মিনিট থেকে ২:৫০ মিনিট পর্যন্ত) এ
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় লাকসাম পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাদরা
এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে
যৌথ বাহিনীর 'ডেভিল হান্ট' অপারেশন চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় লাকসামেও এই
অভিযান অব্যাহত। ফলশ্রুতিতে সেনাবাহিনীর নের্তৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান
চালিয়ে তাদের আটক করেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বলে মনে করেন,
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে প্রতিটি এলাকা
সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত হবে।
লাকসাম থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,
আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় কোনো পূর্ববর্তী মামলা না থাকলেও তারা দীর্ঘদিন
ধরে এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে
প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে অভিযানের
নেতৃত্বে থাকা মেজর তাহসিন ফয়সাল জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী
ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।