কুমিল্লায় হোমনায় গ্যারেজের পাশ থেকে বিল্লাল হোসেন নামে (৩২) নামে এক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার বড় ঘারমোড়া গ্রামের উত্তর পাড়ার রফিক মিয়ার গ্যারেজের পাশ থেকে রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে নিহতের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত বিল্লাল হোসেন ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ মো. জামান মিয়ার ছেলে।
প্রতিবেশী একাধিক ব্যক্তির সাথে মাদক ও মাছ মারা জাল চুরি নিয়ে বিরোধ ছিলো বলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা ধারণা করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক সময় বিল্লাল হোসেন স্থানীয় মাদক কারবারিদের সঙ্গে চলাফেরা করতো।
তার
নামে হোমনা থানায় দু'টি মাদক ও একটি চুরির মামলা রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের
পর থেকে ঘারমোড়া বাজার এলাকায় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে
গ্রুপিং চলছিলো-তবে বিল্লাল এসব বিষয় এড়িয়ে নামাজ ও রোজায় মনোযোগী হওয়ায়
তাকে প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে জবাই করে হত্যা করে বলে জানান, নিহতের ছোট
ভাই কালাই শাহ। তিনি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবি করেন।
নিহতের
মা সেলিনা বেগম জানান, কয়েক দিন আগে টাকার বিনিময়ে একই গ্রামের নজরুল
ইসলামের সঙ্গে বিল্লাল হোসেন (৩২) নদীতে মাছ ধরতে যান। কিন্তু নজরুল ইসলাম
মাছ বিক্রির টাকা বিল্লাল হোসেনকে না দেওয়ায় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়
এবং বিল্লালকে হত্যার হুমকিও দেয়। পরের দিন তার জাল চুরির অভিযোগে বিল্লাল
হোসেনকে দোষারোপ করে এবং প্রকাশ্যে মারধর করে।
তিনি আরো বলেন, শনিবার
রাতে একই গ্রামের কাজম আলীর ছেলে দুলাল মিয়া বিল্লাল হোসেনকে ডেকে নেয়। পরে
বিল্লাল আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে জানতে পারেন রফিকের গ্যারেজের পাশে তার গলা
কাটা লাশ পরে আছে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ
উল ইসলাম বলেন, ‘আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। খুনের
তথ্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। সন্দেহজনক একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আশা
করছি, দ্রুতই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।