কুমিল্লার
মুরাদনগরে পারিবারিক কবরস্থানের মালিকানা ও মাটি ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের
ধরে দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি ও কিলঘুষিতে কাহারুল হক মুন্সি (৫৬) নামে এক
আওয়ামীলীগ নেতা নিহত হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন
চাপিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু
করা হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি ।
নিহত
কাহারুল হক মুন্সী মৃত ফজলুল হক মুন্সীর ছেলে। তিনি চাপিতলা সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও চাপিতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক
সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, মুন্মী বাড়ির একটি
পারিবারিক কবরস্থান নিয়ে কাহারুল হক মুন্সীর সাথে তার চাচা জাহাঙ্গীর
মুন্সী ও জীবন মুন্সীর দ্বন্দ্ব চলছে। কবরস্থানের পাশে একটি খাল খননকালে
কাহারুল হক মুন্সী কিছু মাটি দেওয়ার জন্য ভেকুর চালক ও ঠিকাদারকে অনুরোধ
করেন। তার কথা অনুযায়ী বুধবার রাতে কবরস্থানে মাটি দেওয়া হবে এমন খবর পেয়ে
জাহাঙ্গীর মুন্সী, জীবন মুন্সী, আব্দুল্লাহ ও রাসেল কবরস্থানের কাছে গেলে
কাহারুল হক মুন্সীর সাথে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে
ধস্তাধস্তি ও লাগাতার কিলঘুষিতে কাহারুল মুন্সী অসুস্থ্য হয়ে মাটিতে লুটিয়ে
পড়ে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নুরজাহান মেডিকেলে
ভতি করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দেবিদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে
যাওয়ার পথে রাস্তায় কাহারুল হক মুন্সী মারা যায়।
নিহত কাহারুল হক
মুন্সীর স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে চাচা শশুর জাহাঙ্গীর
মুন্সী, জীবন মুন্সী, চাচাতো দেবর আব্দুল্লাহ ও রাসেল পরিকল্পিত ভাবে হত্যা
করে লাশ কবরস্থানের পাশের খালে ফেলে রাখে। আমি আমার স্বামী হত্যাকারীদের
দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি
মাহফুজুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমেক
হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত
হওয়া যাবে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা
আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের
চেষ্টা চলছে।