টেকনাফ
উপকূলে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় তিন নারী ও এক শিশুর লাশ উদ্ধারের
তথ্য দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ ঘটনায় এক বিজিবি সদস্যসহ ‘কয়েকজন’ নিখোঁজ
রয়েছেন। তবে ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে নৌকাটি সাগরপথে বাংলাদেশের দিকে আসছিল।
“শাহপরীর
দ্বীপের কাছাকাছি নৌকাটি তলা ফেটে ডুবে যেতে শুরু করে। এ সময় নৌকার
আরোহীদের চিৎকার শুনে কাছাকাছি থাকা বিজিবির একটি টহল দল ছুটে যায়। নৌকা
থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। অভিযান চালাতে গিয়ে বিজিবির একজন সদস্য
নিখোঁজ হয়েছেন।”
শরিফুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের নাম বিল্লাল হাসান, তিনি সিপাহী হিসেবে কর্মরত।
টেকনাফ
উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের ভিওপিতে কর্মরত ছিলেন
বিল্লাল। তার সঙ্গে থাকা একটি রাইফেল ও চারটি ম্যাগাজিনও খোয়া গেছে।
টেকনাফ-২
বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন,
শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকার সাগরে নৌকাটি ডুবে যায়।
পশ্চিমপাড়া
জেলে ঘাটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর বলেন, “গভীর রাতে নৌকাটি ডুবে যায়।
সন্ধ্যা পর্যন্ত চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।”
টেকনাফ উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “চার রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার
করা হয়েছে। বিজিবির একজন সদস্যসহ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে
অভিযান চলছে।”