ইসলামিক
ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম
(৭ম পর্যায়) শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্পের জনবলকে রাজস্বকরণ ও আউটসোর্সিং এর
আওতাধীন না করে দ্রুত প্রস্তাবিত ৮ম পর্যায়ে প্রকল্প অনুমোদন প্রদানের
দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত
হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে
মানবন্ধন শেষে দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা
বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ
করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া।
এ সময় মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও শিক্ষক-কেয়ারটেকাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মসজিদ
ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লার ফিল্ড
সুপারভাইজার মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়-
ইসলামিক
ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন "মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা
কার্যক্রম' প্রকল্পটি জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে সারা দেশের মসজিদ অবকাঠামো
ব্যবহার করে দারিদ্র্য, সুবিধা বঞ্চিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদেরকে
বিনামূল্যে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী করে পড়া রোধ, কিশোর কিশোরী ও
বয়স্কদের পবিত্র কুরআন শিক্ষা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ শিক্ষা দান করে
আসছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলেম ওলামা ও সাধারণ
শিক্ষায় শিক্ষিত বেকার নারী ও পুরুষের দারিদ্র্যতা দূরীকরণ ও কর্মসংস্থানের
সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা
সৃষ্টি মানবিক ও নৈতিকতার উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক তৈরি করা,
সরকারের উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কে জনগণকে ধারণা প্রদান ও উন্নয়নকর্মসূচীতে
সম্পৃক্তকরণে এ প্রকল্পটি ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
বর্তমানে নৈতিকতা ও
ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম)
পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন হলেও দীর্ঘ ৩২ বছরের এই
শিক্ষামূলক প্রকল্পটিকে আউটসোর্সিং করার চিন্তা ভাবনা চলছে। তাহলে কুরআন
শিক্ষার প্রকল্পটি ধ্বংস করা হবে যা আলেম ওলামাদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ
বিশৃংখলা দেখা দিতে পারে।
এজন্য জনবলকে রাজস্বখাতে স্থানান্তর,
কর্মী-কেয়ারটেকারদের স্কেলভিত্তিক বেতন প্রদান ও শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ
আউটসোর্সিং ব্যতিরেকে প্রকল্পটি ঈদের পূর্বেই অনুমোদন পূর্বক বকেয়াসহ
বেতন-বোনাস প্রদানের জন্য দাবি জানানো হয়।