কুমিল্লা প্রতিনিধি।। ঈদ যাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানজটের শঙ্কায় ১২ টি পয়েন্টকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে যান চলাচল নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এসব পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ছাড়াও দুই শ রোভার স্কাউটস সদস্য। ট্রাফিকিংয়ে প্রশিক্ষিত এসব সদস্যরা ২৫ তারিখ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তারা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
রোভার স্কাউট কুমিল্লা জেলা সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লিটন জানান, 'চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে চিহ্নিত বারোটি হটস্পট এ হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করবে দুই শতাধিক রোভার স্কাউট সদস্য। ইতোমধ্যে হাইওয়েতে দায়িত্ব পাওয়া স্কাউট সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ ও বিআরটিএ। আগামী ২৫ তারিখ থেকে শিফ্ট পরিবর্তন করে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কাজ করবে তারা। এজন্য তাদের সহযোগীতা করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।'
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটসের রোভারম্যাট ফারিয়া তাসনিম মুন বলেন, 'আমরা আগে জেলা শহরের ভেতরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এখন প্রশিক্ষণ নিয়ে হাইওয়েতে কাজ করবো। আমাদের কাজ হবে সাধারণ মানুষকে ফুটওভার ব্রীজ চলাচলে উদ্বুদ্ধ করা, উল্টোপথে যান চলাচল বন্ধ রাখা, থ্রি হুইলার চলাচল থামানো, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা নিরুৎসাহিত করা। আশা করি আমাদের সদস্যরা মানুষের সহযোগিতায় কাজ করতে পারবে।'
রোভার স্কাউট দের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসে জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার জানান, '১২ টি হটস্পট এর প্রতিটিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকবে বিশেষ টিম। রোভার স্কাউটস যারা এবার মহাসড়কে দায়িত্বপালন করবেন তাদের প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করতে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করবো। বিআরটিএ, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক- জনপথ বিভাগ সহযোগিতা করবে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে দুইটি কুইক রেসপন্স টিম ও নিয়োজিত থাকবে।'
১২ টি হটস্পট এর বিশেষ টিমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও সড়কের জনপদ বিভাগের প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, হাইওয়ে এবং জেলা পুলিশের সদস্য, রোভার স্কাউট এবং পরিবহন মালিক শ্রমিকের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করতে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদের আগে যানজটের আশঙ্কা ছাড়াও ছিনতাই ডাকাতের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে যাত্রীয় চালকরা। কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোঃ খায়রুল আলম বলেন, 'নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কুমিল্লা রিজিয়নে ৮ শতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। যারা হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন আমরা তাদের আলাদা পোশাক পেয়েছেন। কারন কেউ যেন আবার মহাসড়কে দায়িত্বপালন করার নামে আবার চাঁদাবাজি বা অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য রোভার স্কাউটস সদস্যদের নির্ধারিত পোশাক দেয়া হয়েছে।'
তিনি আরো জানান, 'রাতের মহাসড়ক পাহারায় হাইওয়ে পুলিশ রাত জেগে ডিউটি দিচ্ছে।'