চন্ডিকা
হাথুরুসিংহের অধ্যায় শেষে অন্তর্র্বতীকালীন কোচ নিয়োগ করে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী কোচ ফিল সিমন্সকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফি পর্যন্ত কোচ করা হয়েছিল। নতুন করে তার সঙ্গে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ
পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছে বিসিবি। আজ (মঙ্গলবার) রাতে বিসিবির পাঠানো এক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সিমন্স বলেন,
‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত।
এই দলের মধ্যে যে প্রতিভা রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না এবং আমি বিশ্বাস
করি আমরা একসঙ্গে দারুণ কিছু অর্জন করতে সক্ষম হব। আমি সামনের দিকে এগিয়ে
যাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
সিমন্স আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে
কিছু অসাধারণ খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাজ করে, আমি এই দলের মধ্যে অপরিসীম
প্রতিশ্রুতি দেখতে পাচ্ছি। তাদের দক্ষতা এবং খেলার প্রতি আবেগ আমাকে
প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে। একসঙ্গে আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায়
নিয়ে যেতে এবং আমরা সত্যিই বিশেষ কিছু তৈরি করতে পারি।’
গত অক্টোবরে
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
চ্যাম্পিয়ন ক্যারিবীয়দের কোচিং করানো সিমন্স। এরপর তার অধীনেই বাংলাদেশ
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলে। যদিও সেই সিরিজটি
নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল ২-০ ব্যবধানে হারে। এরপর ওয়ানডে সিরিজ হারে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ক্যারিবীয়দের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র করে, ওয়ানডেতে
হার এবং টি-টোয়েন্টি জিতে বাংলাদেশ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা
পুরোপুরি ব্যর্থ। শেষ ম্যাচে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার আগের দুই ম্যাচেই
সিমন্সের দলটি হেরেছিল।
পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে
২৬টি টেস্ট ও ১৪৩ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ফিল সিমন্স। এ ছাড়া প্রথম শ্রেণির
ক্রিকেটে ১১ হাজারেরও বেশি রান রয়েছে এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের। ক্রিকেট
ক্যারিয়ারের চেয়ে কোচিংয়ে বেশি সমাদৃত সিমন্স। বিশ্বজুড়েই পরিচিতি তার।
২০০৪-০৫ সালে জিম্বাবুয়ের কোচের দায়িত্ব দিয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয়
সিমন্সের। কাজ করেছেন আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের দলের সঙ্গেও। ওয়েস্ট
ইন্ডিজ, পাপুয়া নিউগিনি ছাড়াও পিএসএল, এমএলসির মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তিনি
কোচিং করিয়েছেন।