রাষ্টীয়
কর্মসূচির অংশ হিসেবে হিসেবে ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে
যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫শে মার্চ রাত ১০:৩০ মিনিটে ব্লাক আউটের মধ্য দিয়ে
'কাল রাত্রি' উদযাপন করা হয়। ২৬শে মার্চ জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রী শাখায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের
মধ্য দিনের কর্মসূচি
শুরু হয়। এরপর ডিগ্রী শাখার 'মুক্তিযুদ্ধ
স্মৃতিস্তম্ভ' এ কলেজ প্রশাসন, বিভিন্ন বিভাগ, কর্মচারী, হোস্টেল ও
সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। এরপর কলেজের
কান্দিরপাড় শাখায় শিক্ষক পরিষদ কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মুহাম্মদ
মাহবুবুল আলম ও তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন জনাব মোহাম্মদ
আব্দুল বাতেন, প্রভাষক (পদার্থবিদ্যা বিভাগ), জনাব মুহাম্মদ নুর নবী,
সহকারি অধ্যাপক (অর্থনীতি বিভাগ ), ড. মো. রাজু আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক
(রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগ ), প্রফেসর মোহাম্মদ জহিরুল হক স্বপন, অর্থনীতি বিভাগ,
গাজী মুহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান, সম্পাদক, শিক্ষক পরিষদ, প্রফেসর মো.
আবদুল মজিদ, উপাধ্যক্ষ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ। বক্তরা তাদের আলোচনায়
স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ৩০
লক্ষ শহিদ এবং ২শক্ষ নারীর সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদা
রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়া জুলাই এর
গণ অভ্যূত্থানে শাহাদাত বরণকারী সকল বীর ছাত্র জনতার নতুন বাংলাদেশ
বির্ণিমানে তরুণদের ত্যাগকে অকপঠে স্বীকার করেন এবং তারণ্েযর শক্তিতে
উজ্জীবিত হয়ে আগামীর স্বৈরাচার, লুটপাট, অর্থপাচার, স্বজন প্রীতি ও
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। বক্তারা
শিক্ষায় নিজ নিজ ক্ষেত্রে মেধা ও শ্রম বিনিয়োগে সৎ ও দেশ প্রেমিক সুনাগরিক
তৈরিতে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.
আবুল বাসার ভূঞাঁ তার বক্তব্যে বলেন, ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে
যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই এ
অঞ্চলের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে সবসময় সোচ্ছার ছিলেন ; কিন্তু বিভিন্ন
ষড়যন্ত্র তাদের অধিকার আদায়ের পথে পিছুটান দিয়েছে। তবুও বাঙ্গালীরা ১৯৪৭
সালের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনসহ ১৯৭১
স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত অধিকার আদায় না হওয়া পযর্ন্ত সবসময় সোচ্ছার ছিল বলেই
দীর্ঘ নয় মাসে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে স্বাধীনতার অমৃত স্বাদ
আস্বাদন করতে সক্ষম হয়েছে। সবশেষে অধ্যক্ষ তার আলোচনায় ২৬শে মার্চের
মর্যাদা ও সম্মান সমোন্নত রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান। অবশেষে স্বাধীনতা
সংগ্রামে শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া
পরিচালনা করা হয়।