মোঃ হাবিবুর রহমান:
বিভিন্ন
স্থানে এখনো আগের মতো চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের মতো ঘটনা চলমান আছে বলে
মন্তব্য করেছেন অন্তর্বতী সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একটি উদাহরণ
টেনে তিনি বলেন, কিছুদিন আগেই কোম্পানীগঞ্জে (মুরাদনগরের) একটি ঘটনা ঘটেছে।
সেখানেও পূর্বের মতো বিভিন্ন উপায়ে চাদাঁবাজি ও সন্ত্রাসের মতো ঘটনা চলমান
আছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে এমন একটি পরিস্থিতি হয়েছে যে, অনেকে মনে
করেন চাঁদা দেওয়াটা আমার দায়িত্ব। আমাকে যে কেউ এসে একটি টোকেন ধরিয়ে দিলে
আমাকে ৫০/১০০ টাকা চাঁদা দিতে হবে। আবার যারা চাঁদা নেয়, তারা মনে করে, এটা
আমার অধিকার। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে তো এভাবেই চলে আসছে। এখন কেন চলবে না?
তাদেরকে আমরা ষ্পষ্ট ভাবে একটা বার্তা দিতে চাই, জুলাই গণঅভুত্থানের পরে
পূর্ববর্তী আর কোন এ ধরণের প্রেক্টিস বরদাশত করা হবে না। সারা বাংলাদেশে
জুলাই গণঅভুত্থানে শহীদরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য জীবন দিয়েছে। সেই
বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পূর্ববর্তী সময়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ
যেই বিষয়গুলো যুব সমাজ এবং তরুন প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে সে গুলোকে শক্ত
হাতে দমন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর
উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত হিফজুল কুরআন
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী কোরআনে হাফেজদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এসব কথা বলেন।
উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি
ছিলেন, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির
আহমেদ খান।
উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার
উপস্থাপনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক এডভোকেট ওবায়দুল হক সিদ্দিকী। অন্যান্যের মধ্যে আরো
উপস্থিত ছিলেন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মতিন, জনস্বাস্থ্যের
নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)
সাকিব হাসান খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
আরো বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে, আমাদের এখানে এখনো অনেক সচেতন মানুষজন আছে।
তারা এ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়িয়েছে। তারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও এ
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, এটা আমাদের গর্ব। আমরা সারাদেশের তরুন
সমাজকে আহবান জানাতে চাই, আপনারা যেখানেই চাঁদাবাজি দেখবেন, বিভিন্ন
সমিতির নামে টোকেন ধরিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেখানেই প্রতিবাদ করে রূখে
দিবেন। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ এই চাঁদাবাজ, মাদক ও সন্ত্রাস দমনে কাজ করে
যাচ্ছে। আমি মুরাদনগর বাসীকে আহবান জানবো, আপনারা স্থানীয় প্রশাসনকে
সহযোগিতা করবেন। তথ্য দিয়ে যে কোন প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াবেন। মাদক,
চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেন তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে।