ঈদযাত্রায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধীরে ধীরে বাড়ছে গাড়ির চাপ। মহাসড়কের কুমিল্লার অংশের ১০৫ কিলোমিটার এলাকার যানজট প্রবন এলাকাগুলোতে যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও নেই স্থায়ী কোন জট। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি অপরাধ দমনে চেকপোস্ট বসিয়ে সড়কে রয়েছেন সেনাবাহিনী। সহযোগিতায় আছেন রোভার স্কাউট ও আনসার সদস্যরাও।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশের যানজট প্রবন ১২টি হটস্পট রয়েছে। যেখানে উল্টো পথে গাড়ি চলাচল, মহাসড়কে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা এবং ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে পথচারীদের সড়ক পারাপারসহ নানা অনিয়মের কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে যানজট। তাই এসব অপরাধ দমনে বাড়তি জনবল মোতায়েন করেছে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। ১০৫ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় এক হাজারের অধিক পুলিশ সদস্য, দুই শতাধিক রোভার স্কাউট সদস্য এবং সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্য নিয়োজিত আছেন।
বৃহস্পতিবার মহাসড়কের দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে চৌদ্দগ্রামের শেষ সীমানা পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১২ টি হটস্পটের মধ্যে কোথাও কোন জট নেই। তবে স্থানীয় কিছু মিনিবাস সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করতে গিয়ে এবং বাজারগুলোতে পণ্য উঠানামায় মাঝে মাঝে অস্থায়ী জট সৃষ্টি হচ্ছে। সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
এশিয়া ট্রান্সপোর্টের যাত্রী মীর মোশাররফ হোসেন ঢাকা থেকে এসে নেমেছেন চান্দিনা বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরেছেন। ভাবছিলেন চিটাগাং রোড, মদনপুর, সোনাগাঁও, দাউদকান্দি ও চান্দিনা যানজটে পড়বেন। কিন্তু সেই দৃশ্য চোখে পড়েনি। বাস একটু ধীরগতি চললেও যাত্রা ছিল একেবারেই স্বস্তির।
মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করতে ফেনী যাচ্ছেন অর্পিতা আলম নামে এক শিক্ষার্থী। স্টার লাইন পরিবহনের এ যাত্রী বলেন, সকল শঙ্কা কাটিয়ে স্বস্তিতেই বাড়ি ফেরা হচ্ছে। কোথায় কোন যানজট বা অপরাধ কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। সড়কের বিভিন্ন মোড় বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ খুব উপস্থিতি দেখা গেছে। এটা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মনে হচ্ছে।
কুমিল্লা ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ১২ বীর ব্যাটালিয়নের মেজর সানিউল আলম বলেন, সড়কে যানজটের কারণগুলো চিহ্নিত করে হটস্পটগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তারপরও সড়ক আইন ও ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করা অসাধু চালক ও পরিবহনের বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীর এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাত্রায়।