১৬ বছর পর সাফ অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ৩-৫ মে ভারতের রাচিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ১৪ জন অ্যাথলেটের আর্মি স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে। জাতীয় দলের ক্যাম্প চলাবস্থায় আগামী ২০ এপ্রিল আবার ফেডারেশন উন্মুক্ত ট্রায়ালের আয়োজনও করেছে।
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের পরপরই ফেডারেশন জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় নির্বাচন করেছে। সেই অ্যাথলেটরা এক মাসের বেশি সময় ক্যাম্প করার পর আবার ট্রায়ালের চ্যালেঞ্জে পড়তে যাচ্ছেন। এর কারণ সম্পর্কে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের যুক্তি, 'এক মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাদের অবস্থান আমরা ট্রায়ালের মাধ্যমে বুঝতে পারব। এজন্যই এই ব্যবস্থা।'
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ২০ এপ্রিল ট্রায়ালের জন্য ইতোমধ্যে তাদের নিবন্ধিত সংস্থাগুলোকে চিঠি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইভেন্টের খেলোয়াড়রা ঢাকা স্টেডিয়ামে নিজেদের পারফরম্যান্স প্রদর্শন করবেন। উন্মুক্ত ট্রায়ালে কেউ যদি জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা অ্যাথলেটদের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেন তারা সুযোগ পাবেন, 'আমরা বিদেশে দল পাঠাব। যারা সেরা তাদেরকেই পাঠাতে চাই। এজন্যই ট্রায়ালের ব্যবস্থা।'
জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়ার পর আবার ট্রায়াল বিষয়টি একটু অন্য রকমই। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশীপে পারফরম্যান্স দেখেই ফেডারেশন স্প্রিন্ট, জাম্প, হার্ডেলস, ম্যারাথনে অ্যাথলেট নির্বাচন করেছে। জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের প্রমাণ করার পরও আরেক বার প্রমাণ করতে হচ্ছে অ্যাথলেটদের। ট্রায়ালে নতুন কেউ ভালো করলে দশ দিন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য কতটুকু প্রস্তত হতে পারেন সেটাও দেখার বিষয়।
১৪ জন অ্যাথলেট ক্যাম্পে যোগদান করলেও কোচিং স্টাফের সবাই যোগ দিতে পারেননি। নারী দলের জাম্প কোচ ফৌজিয়া হুদা জুই ও ছেলে দলের স্প্রিন্ট কোচ আব্দুল্লাহ হেল কাফী ঈদের ছুটির আগে অনুশীলন করাতে পারেননি।
জুই বিসিবিতে কাজ করবেন বিধায় তাকে বাদ দিয়েই অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন পরিকল্পনা করছে। কাফী যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে ঈদের পর ক্যাম্পে যোগ দেবেন। অ্যাথলেটিক্সের ক্যাম্পে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে।