চৌদ্দগ্রাম
প্রতিনিধি: এটা সরকারের জমি, সরকারি জমি আপনি কেন ভাড়া দেন?-এক ইলেকট্রিক
ব্যবসায়ীকে এমন প্রশ্ন করেছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ
জামাল হোসেন। গত ১৭ বছরে কোন ইউএনও এ রকম কঠোর হতে পারেনি। ইউএনও জামাল
হোসেনের কঠোরতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারে অবৈধ স্থাপনা
উচ্ছেদ ও স্বেচ্ছাসেবী দিয়ে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণ করছেন। অতীতে এত সুন্দর
চৌদ্দগ্রাম দেখেনি কেউ। বিশেষ করে অতীতের উচ্ছেদ অভিযানকালে চৌদ্দগ্রাম
বাজারস্থ মুচি পট্টি, মেডিল্যাবের সাথে ও বিপরীত পাশের অবৈধ স্থাপনা কেউ
ভাঙতে পারেনি। বর্তমান ইউএনও অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন উদ্যোমে
চৌদ্দগ্রামের আপামর জনতার উপকারে কাজ করছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ বছর ধরে
চৌদ্দগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজ দোকানের সামনের ফুটপাত ভাড়া দিয়ে বিপুল
পরিমাণ টাকা ভাড়া আদায় করে। এতে পুরো বাজারের সৌন্দর্য নষ্টসহ যানজট লেগেই
থাকে। সম্প্রতি পুরো দেশের মহাসড়কের যানজট নিরসনে সরকার গুরুত্বপূর্ণ
পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর
প্রশাসন বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে
চৌদ্দগ্রাম বাজারে সকাল থেকে সেনাবাহিনী, থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও
স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন বলেন, সরকারি জায়গা ব্যক্তির অধীনে থাকতে পারে
না। যারাই সরকারি জায়গা দখলে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইতোমধ্যে মহাসড়কের দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান করে যানজট নিরসনে কঠোর পদক্ষেপ
নেয়া হয়েছে।