সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহা। শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটা করতে কুমিল্লার শপিংমল ও ফুটপাতগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের হাক ডাক ও দর কষাকষির মধ্য দিয়েই চলছে কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। দিনের বেলা গরমের উত্তাপ ও যানজট থেকে বাঁচতে রাতে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন তাঁরা। বাবা-মায়ের হাত ধরে পছন্দের পোশাক কিনতে বাজারে এসেছেন শিশুরাও। বেচাবিক্রি ভালো হওয়ায় স্বস্থিতে রয়েছেন বিক্রেতারা।
কান্দিরপাড়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, শেষ সময়ে এসে এভাবে ক্রেতা ভিড় হবে ভাবেনি। গত বছরের চেয়ে এবার ভালো বিক্রি হয়েছে। গতকাল রাত ৪টায় বাসায় গিয়েছি আজ মনে হয় বাসায় যাওয়া যাবে না। দিনের চেয়ে রাতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে।
রাজগঞ্জের কসমেটিক ব্যবসায়ী মো. হাসান বলেন, দোকানে এখন মেহেদী রঙের চাহিদা বেড়েছে। প্রচুর নারী ক্রেতা আসছেন। এছাড়াও বিভিন্ন কসমেটিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে। সারা রাত দোকান খোলা থাকবে।
কান্দিরপাড়ের আ. রউফ এন্ড সন্স’র কাপড় ব্যবসায়ী মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, রাত যত বাড়ে ক্রেতার ভিড় তত বাড়তে থাকে। এত ক্রেতা আগে কখনই দেখিনা। কান্দিরপাড় এলাকায় পা ফেলার এক ইঞ্চি জায়গাও নেই। মধ্যরাতেও এমন জমজমাট কেনাকাটা দেখে বোঝার উপায় নেই।
চকবাজার থেকে পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, বেতন পাওয়ার পর পরিবার নিয়ে রাতে ঈদের কেনা কাটা করতে এসেছি। কিন্তু কান্দিপাড়ে এত মানুষের ভিড় ঠেলে সামনে যেতে পারছি না। তাই একটু দাঁড়িয়েছি। এখন মনে হচ্ছে দিনের বেলা আসায় উচিত ছিল।
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতি ফেডারশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মঞ্জুর আলম ভূঁইয়া জানান, রমজানের শুরুতে বড় বড় শপিংমল গুলোতে ভিড় ছিল। ঈদের শেষ মুহুর্তে এসে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কান্দিরপাড় এলাকায় মধ্যরাতেও ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। নগরীর ছোট বড় ব্যবসায়ীরাও অনেক খুশি।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঈদ ঘিরে মার্কেটগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বড় বড় শপিংমলগুলোতে বাড়তি পুলিশ সদস্য দেয়া হয়েছে। ঈদ বাজারে কুমিল্লায় এখনও কোন বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পায়নি।