নিজস্ব
প্রতিবেদক: এলো খুশির ঈদ। উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপনের অপেক্ষায় দেশবাসী।
আজ রবিবার চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার উদযাপিত হবে ঈদ-উল-ফিতর।
ইতোমধ্যেই সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ঈদ উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে।
প্রচলিত
নিয়ম অনুসারে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর মুসলমানরা ঈদ আনন্দে মেতে ওঠে।
অন্য ধর্মের মানুষও তাদের সঙ্গে আনন্দে শামিল হয়। ইতোমধ্যে প্রিয়জনদের
সঙ্গে ঈদ করতে শহরের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে চলে গেছে। মহান আল্লাহপাকে
আনুগত্য লাভের প্রত্যাশায় দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর ঈদ উপলক্ষে
পরিবার-পরিজনসহ নিজ নিজ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ
ভাগাভাগি করে মুসলমানরা। ইসলামী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ণ একমাস সিয়াম
সাধনার পর ঈদ উৎসব মুসলিম জাতির প্রতি সত্যিই মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ
থেকে এক বিরাট নিয়ামত ও পুরস্কার। মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যের আবেগ,
অনুভূতি, ভালবাসা, মমতা ঈদের এ পবিত্র ও অনাবিল আনন্দ উৎসবে একাকার হয়ে
যায়।
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়াও
অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
এবার ঈদ সামনে
রেখে রোজা শুরুর পর থেকেই মার্কেট ও বিপণিবিতানসহ সারাদেশে সর্বত্র
সর্বস্তরের মানুষ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে গতি
ফিরে এসেছে। রোজা শুরুর পর থেকেই সারাদেশে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।
এবার ঈদেও সার্বিক পরিস্থিতি থাকবে উৎসবমুখর।
চিরাচরিত রীতি অনুসারে
রোজা শুরুর পরই ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ নতুন সাজে
সেজে ওঠে। মাসব্যাপী কেনাকাটা শেষে ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি থাকে মানুষের
ঘরে ঘরে। এ উপলক্ষে রাজধানীকে সাজানো হয় বিশেষভাবে। সড়ক দ্বীপগুলো
আলোকসজ্জায় ভরে ওঠে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে থাকে আলাদা প্রস্তুতি। ঈদের
শুভেচ্ছা জানিয়ে তৈরি করা হয় একাধিক তোরণ। ঈদগাহ মাঠও বিশেষভাবে সেজে ওঠে। এ
ছাড়া দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও এবার
আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
হিজরী বর্ষপঞ্জী অনুসারে
রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদ-উল-ফিতর উৎসব উদযাপন করা হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজানের সমাপ্তিতে শাওয়ালের মাসের গণনা শুরু হয়। ঈদের
চাঁদ সচক্ষে দেখে তবেই ঈদের ঘোষণা দেয়া ইসলামী বিধান। ইসলামী নিয়মানুসারে
ঈদের পূর্বে পুরো রমজান মাস রোজা রাখা হলেও ঈদের দিনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ বা
হারাম। ইসলামের অনুসারীদের জন্য রোজার মাস বিশেষ নিয়ামতের মাস হিসেবে
গণ্য। কারণ দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরেই আসে ঈদ। আমাদের দেশের কোন কোন
অঞ্চলের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে থাকে। তাই সাধারণত
তারা একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করে থাকে। যদিও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সরকার ঘোষিত
সময় অনুসারেই ঈদ উদযাপনের বিধান রয়েছে।