কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার এতবারপুরে গোমতী নদীর পানিতে তলিয়ে গেছেন আবু ইউসুফ(৫০) নামের এক ব্যক্তি। চার ঘন্টা পর স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় আবু ইউসুফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় ডুবে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে। আবু ইউসুফ এতবারপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন কৃষক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এতবার পুর এলাকার বাসিন্দা দুই ভাই খোকন ও ইউসুফ গরুর জন্য গোমতীর চরে ঘাস কাটতে যান। এসময় তারা গোমতী নদী পার হয়ে শ্রীপুর যান। ঘাস কাটার পর খোকন নদী পার হয়ে আসলেও বস্তাসহ নদীতে তলিয়ে যেতে থাকেন ইউসুফ। ইউসুফের চিৎকার শুনে বড় ভাই খোকন এগিয়ে গেলেও তাকে খুঁজে পান নি। তলিয়ে যায় ইউসুফের মরদেহ। এরপর এলাকাবাসী ও ফায়ারসার্ভিস খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করলে চার ঘন্টা পর যেখানে ইউসুফ তলিয়ে যায় সেখান থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, ডুবে যাওয়ার সময় ইউসুফের কোমরে ঘাসের বস্তা বাধা থাকা অতিরিক্ত ওজনের কারণে তিনি সাঁতরে উপরে উঠতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছে ঘাসের বস্তায় পানি ঢুকে অতিরিক্ত ওজন হয়ে যাওয়ায় তিনি নিজেকে বাঁচাতে পারেননি।
নিহত ইউসুফের বড় ভাই খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আমি আগে নদীর পার হই। পরে ভাইয়ের চিৎকার শুনে পেছনে ফিরে দেখি উনি তলিয়ে যাচ্ছেন। দৌড়ে গিয়ে আমি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও পারি নি। শুধু গামছা আর সিগারেটের প্যাকেট ভেসে উঠে। উনার সাথে দুই বস্তা ঘাস ছিলো। আমরা সব সময় একই ভাবে নদীর ওই পাড়ে গিয়ে ঘাস আনি।
স্থানীয় উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবী আলাউদ্দিন জানান, যেই জায়গায় ইউসুফ ডুবেছে সেখানে পানির গভীরতা ৭/৮ ফুট হবে। কিন্তু যে জায়গায় ডুবেছে সে জায়গায় আমরা এর আগেও তন্নতন্ন করে খুঁজেছি, কিন্তু পাই নি। চার ঘন্টা পর সেখানেই মরদেহটা উপুর হওয়া অবস্থায় পানির নিচে পেলাম। বিষয়টা অবাক লাগলো!
খবর পেয়ে বুড়িচং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে নেমে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ৪ ঘন্টা পর মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক জানান, খবর পেয়ে সকাল থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনস্থলে যায়, সাড়ে ১১ টায় নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, পরিবারের সাথে কথা বলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।