দাউদকান্দিতে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জুনায়েত চৌধুরী।
ভুক্তভোগীর পরিবার শিশুটিকে উদ্ধার করে ঘটনার পরদিন রাতে মডেল থানায় নিয়ে আসে,পরে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহ একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের অভিযুক্ত আল আমিন (২০) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
শিশুটির মা জানান, ঈদে বাড়িতে মেহমান থাকায় আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ আমার মেয়েকে (শিশু) দেখতে না পেয়ে আমরা খোঁজ করতে থাকি। পরে আমাদের প্রতিবেশী এক নারী আমাকে বলে যে, আল-আমিন আমার মেয়েকে নিয়ে সিএনজিতে বসে আছে। পরে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আল-আমিন পালিয়ে যায়। আমার মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় আমি বুঝতে পারছি যে ঐ ছেলে আমার মেয়ের সর্বনাশ করার জন্য কিছু একটা করেছে। তাই আমি থানা পুলিশের কাছে এসে সহযোগিতা চাই।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , অভিযুক্ত আল আমিন শিশুটির জেঠাতো ভাই ঐদিন শিশুটিকে একটি খাবার জুস কিনে দেয়। এরপর কী হয়েছে তা কেউ সঠিক বলতে পারছেন না। তবে স্থানীয় আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে অভিযোগকারী আগে থেকে পারিবারিক একটি ঝামেলা ছিল। অভিযুক্ত আল-আমিন এর আগেও অনেকের সঙ্গে বিভিন্ন ঝামেলায় জড়িয়ে সামাজিক অবক্ষয়ের মত ঘটনা ঘটিয়েছে।
শিশুটিকে প্রথমে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে (কুমিক) প্রেরণ করা হয় বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানভীর আহমেদ।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ জুনায়েত চৌধুরী জানান, শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গতকাল বুধবার (২এপ্রিল ) দিবাগত রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে একজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের দায়ে ভুক্তভোগী শিশুটির মা রিমা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে চক্রতলা গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে।