সয়াবিন
তেলের দাম প্রতি লিটারে এক লাফে ১৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ভোজ্যতেল
পরিশোধন কারখানার মালিকেরা। ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস ২৭ মার্চ
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে বিষয়টি লিখিত জানিয়েছে বাংলাদেশ
ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স
অ্যাসোসিয়েশন।
এ নিয়ে রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে হয়েছে, তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মন্ত্রণালয়
সূত্রে জানা গেছে, দাম বাড়ছে কিনা এ সিদ্ধান্ত ছাড়ায় বৈঠক শেষ হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার আবারও ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সঙ্গে বৈঠক হতে
পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আজকের এ বৈঠকে অংশ নেন- বাণিজ্য
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের
চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ
বাণিজ্য (আইআইটি) দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ জাতীয় রাজস্ব
বোর্ডের (এনবিআর) একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিসহ ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার
মালিকেরা। বেশ কিছু সময় বৈঠক চললেও দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো
সিদ্ধান্ত হয়নি।
আইআইটি দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রাজ্জাক বলেন,
আমরা আজকের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে আগামি দু-এক দিনের মধ্যে
আরেকটি বৈঠক হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এক লাফে তেলের দাম ১৮ টাকা
বাড়ানোর কারণ হিসেবে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক–কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়াকে
উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে দাম সহনীয় রাখতে আমদানি পর্যায়ের অব্যাহত
শুল্ক-কর রেয়াত ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড
অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে এ
সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। তবে এখন পর্যন্ত শুল্ক–করের
সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি এনবিআর। মিলাররা
জানিয়েছেন, শুল্ক-কর রেয়াত সুবিধার মেয়াদ বাড়ানো হলে দাম বাড়ানো থেকে সরে
আসবেন তারা।
ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ)
ট্যারিফ কমিশনে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত
সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা হবে বলে জানায় পরিশোধন কারখানার মালিকদের সংগঠন।
সেই হিসাবে লিটারে ১৮ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। পাঁচ লিটারের
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৩৫ টাকা।
একইভাবে খোলা
সয়াবিন ও খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৭০ টাকা।
বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দাম লিটারপ্রতি ১৫৭ টাকা। এ হিসাবে খোলা সয়াবিন ও
পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৩ টাকা বাড়াতে চায় কোম্পানিগুলো।