দক্ষিণ
কোরিয়া বাংলাদেশের একটি অন্যতম পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র্ ও উন্নয়ন অংশীদার।
আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর পরই ১৯৭২ সালের ১২ মে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি
দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও কোরিয়া
প্রজাতন্ত্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এই সম্পর্কের গভীরতা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া কৃষ্টি, আচার আচরণ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি চর্চা অনেক ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে যায়। যুদ্ধ করে যেমন দেশ দুটি স্বাধীন হয়েছে, ভাষা
স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে এই দুটি দেশের মিল রয়েছে । বাংলাদেশে যেমন
বাংলা ভাষা, তেমনি দক্ষিণ কোরিয়া তাঁর হাংগুল ভাষা সংরক্ষণে জোরালো আন্দোলন
করে সফল হয়েছে। দক্ষিন কোরিয়া এবং বাংলাদেশ ২০২৩ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক
প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করে। উভয় দেশই বৈশ্বিক পরিমন্ডলে নিজ নিজ
দেশের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক নীতি, আদর্শ এবং লক্ষ্য নির্ধারণ
করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সেগুলি অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে
যাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমান বিশ্বের একটি উন্নত দেশ যার অর্থনীতির
আকার হচ্ছে ১.৮৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি ২০২৫ সালে এশিয়ার ৪র্থ এবং
বিশ্বের ১২তম অর্থনীতির দেশ। এ দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ৩৭,৬৭২ মার্কিন
ডলার। দক্ষিণ কোরিয়া তার দ্রুত এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির বিকাশের জন্য
বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে। কয়েক দশকের ব্যবধানেই এ দেশটি অনুন্নত দেশ হতে
উন্নত দেশের কাতারে তাঁর অবস্থান করে নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধির গতিকে ‘মিরাকল ইন দ্যা হান রিভার’ বলে অভিহিত করা হয়। দক্ষিণ
কোরিয়া উন্নত দেশসমূহের দুটি সংস্থা ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা’
(ওইসিডি) এবং ‘জি-২০’ এর গর্বিত সদস্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অতি প্রযুক্তি
নির্ভর রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের মাধ্যমে তাঁর অর্থনীতির বিকাশ ঘটিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান স্যামসাং গ্রুপ ৮০টি বহুমূখী
প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত। স্যামস্যাং একাই দক্ষিণ কোরিয়ার মোট জিডিপি’র ১৭
শতাংশ অর্জন করে। পৃথিবীর সবচেয়ে উচু দালান বুর্জ আল খলিফা, মালয়েশিয়ার
পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারসহ বহু আকাশচুম্বি অট্টালিকা নির্মাণ করেছে স্যামসাং।
স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স বৈশ্বিক বাজারে বৃহদাংশ দখল করে আছে। দক্ষিণ
কোরিয়ার তার গবেষণাধর্মী শিক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিগত ও
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৪ সালে বিশ্বের উদ্ভাবনী ইনডেক্সে
দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান ৬ষ্ট স্থানে।
দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদার। কূটনৈতিক সম্পর্কের
হাত ধরে দক্ষিণ কোরিয়া সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনশক্তি
রপ্তানি, উন্নয়ন সহায়তা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়। ব্যবসায় বিনিয়োগ ও জনশক্তি
রপ্তানী বিষয়ক সম্পর্ক সময়ের সাথে জোরালো হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে
বাংলাদেশ ২০০৮ সাল থেকে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি’ বিশ্ব বাণিজ্য
ব্যবস্থার অধীনে প্রায় ৪০০০ এর অধিক ক্ষেত্রে পণ্যের কোরিয়ার বাজারে
শুল্কমুক্ত-কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার ভোগ করছে। বাংলাদেশের বর্তমান রপ্তানি
খাতির মূল স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত গার্মেন্টস খাতের প্রথম দিকে বিদেশি
সহায়তা এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এবং এর হাত ধরেই ধীরে ধীরে এ খাতে তার
অবস্থানকে সুসংহত করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য হল-
বোনা পোশাক, নিটওয়্যার, গৃহস্থালীর টেক্সটাইল, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য
হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক পণ্য, ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, তাঁবু, সিন্থেটিক
দড়ি ইত্যাদি। কোরিয়া থেকে বাংলাদেশের প্রধান আমদানি পণ্য হল- লোহা ও
ইস্পাত, প্লাস্টিক এবং এর তৈরি জিনিসপত্র, যন্ত্রপাতি, যান্ত্রিক
যন্ত্রপাতি, ব্রয়লার; কাগজ এবং পেপারবোর্ড; কাগজের জিনিসপত্র; ট্যানিং বা
রঞ্জনবিদ্যার নির্যাস; ট্যানিন ইত্যাদি।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ
কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশ
জোরালো হয়েছে। প্রথম বারের মতো ২০২১ সালে এ দুটি দেশের দ্বিপাক্ষিক
বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করে এবং ২০২২ সালে ৩
বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০২৩ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২.৩ বিলিয়ন
মার্কিন ডলার নিবন্ধিত হয়। প্রসংগত উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়া
সারা বিশ্ব থেকে মোট আমদানি করেছে ৭৫২.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট
রপ্তানী করেছে ৬৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশে বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের তৃতীয় বৃহত্তম অবদানকারী দেশ এবং এর
পরিমান ১৫৯৯.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সেপ্টেম্বর, ২০২৪)। এই বিনিয়োগগুলো
অবকাঠামো, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতে নিবন্ধিত হয়েছে।
২০০ টিরও বেশি কোরিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশে একটি অনন্য বিদেশি ইপিজেড স্থাপনকারী প্রথম দেশ।
দক্ষিণ
কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার। কোরিয়ার অর্থনৈতিক ও
কারিগরি সহায়তা দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়: ক) ১৯৯৩ সালে কোরিয়ার
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার সাথে বাংলাদেশ সরকারের দ্বি-পাক্ষীয় চুক্তি
স্বাক্ষরের মাধ্যমে অনুদান বরাদ্দ দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। খ) অন্যদিকে
কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতার সূচনা হয় ১৯৯৭
সালে এবং এর আওতায় প্রাপ্ত নমনীয় শর্তের কোরিয়ার অর্থনৈতিক ও কারিগরি
সহায়তা বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলিতে যেমন স্বাস্থ্য, আইসিটি,
শিক্ষা, পানি শোধন, জ্বালানি এবং পরিবহন ইত্যাদিতে ব্যয় হয়েছে। দক্ষিণ
কোরিয়া সম্প্রতি পাঁচ বছরের (২০২৩-২০২৭) জন্য বাংলাদেশের জন্য তার উন্নয়ন
ঋণ ৭০০ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩ বিলিয়ন ডলার করেছে।
ষাটের দশকে
দক্ষিণ কোরিয়া যুদ্ধে অবসানের পর থেকে কোরিয়ার উন্নয়ন অভিমুখী যে যাত্রা
শুরু হয়েছিল তাতে আমাদের দক্ষ আধাদক্ষ শ্রমিকরা তাদের ঘাম ছাড়ানো শ্রম দিয়ে
বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল এবং যা এখনো অব্যাহত আছে। এমপ্লয়মেন্ট পারমিট
সিস্টেম (ইপিএস) হলো দক্ষিণ কোরিয়াতে বিভিন্ন খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগে
একটি আইনি ব্যবস্থা। বাংলাদেশ, চীন, নেপাল, পাকিস্তান, মায়ানমার,
ভিয়েতনামসহ ১৬টি দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় শ্রম চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ইপিএস
কর্মসূচির আওতায় কোরিয়াতে বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হওয়ার মাধ্যমে
দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প, নির্মাণ এবং কৃষি খাতে কর্মী পাঠানো শুরু হয়। এ
শ্রমবাজারে তারা যুক্ত হচ্ছেন নির্মাণ শিল্প, ফার্ণিচার কারখানা, জাহাজ
শিল্প, প্লাস্টিক পণ্যের কারখানা, রি-সাইক্লিং শিল্প, আইটি শিল্পসহ বহুবিধ
উৎপাদন মুখী শিল্প কারখানায়। ইপিএস কর্মসূচির আওতায় গমনকৃত শ্রমিকদের জন্য
দক্ষিণ কোরিয়া একটি "জনপ্রিয়" গন্তব্য। এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় খুবই আকর্ষণীয়
বলে শ্রমিকদের কাছে বিবেচিত হচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে বেতন কাঠামো যা বর্তমান
সময়ে অন্য যেসব দেশে বাংলাদেশের শ্রমিকরা যাচ্ছেন তাদের তুলনায় অনেক বেশি
এবং দ্বিতীয়ত হলো দক্ষিণ কোরিয়ার আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প কারখানায়
ভালো পরিবেশে কাজ করার সুযোগ লাভ । ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, ইপিএসের
মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া ২৮,৬৯৭ জন বাংলাদেশী কর্মীকে নিয়ে গিয়েছিল। ২০২২
সালে রেকর্ড সংখ্যক ৫,৮৯১ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন।
দক্ষিণ
কোরিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানের। দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষাকে অত্যন্ত
মূল্যবান এবং সমাজের একটি মৌলিক দিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওইসিডি এর
তালিকাভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে পঠন দক্ষতা, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে দক্ষিণ
কোরিয়া শীর্ষে অবস্থান করছে । এ দেশের উচ্চ শিক্ষার প্রায় ৮৫ ভাগই বেসরকারি
খাতে পরিচালিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সিউল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনসি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা,
পড়াশোনার মান ও সৃজনশীলতার বিবেচনায় বিশ্বব্যপী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। নতুন
নতুন গবেষণা, প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা, আধুনিক শিক্ষার বিষয়,
শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মজীবনে নিজেকে যুক্ত করার সুযোগ থাকার কারণে
কোরিয়ার উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের
শিক্ষার্থীদের ব্যপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় দেড়
হাজারের মতো বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও
পিএইচডি স্তরে অধ্যায়ন করছেন। মূলত ব্যবসা প্রশাসন, আইসিটি, কৃষি গবেষণা
ইত্যাদি বিষয়ে বেশীর ভাগ ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়ন করছেন। তাদের বেশির ভাগই
‘গ্লোাবাল কোরিয়া স্কলারশিপ (জিকেএস)’র অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃত্তি নিয়ে
পড়াশুনা করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার ক্ষেত্রে বেশ
গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও
সরকারি বর্মকর্তাগণ এখানে বিভিন্ন স্কলারশীপের আওতায় পড়াশোনা করছেন।
দক্ষিণ
কোরিয়ার এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত
উৎকর্ষতা ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশ্বব্যাপি মডেল হিসেবে বিবেচিত।
দক্ষিণ কোরিয়া যেহেতু প্রযুক্তি উদ্ভাবন র্যাংকিংয়ে বিশ্বে প্রথম সারির
একটি দেশ, তাই বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত
স্থানান্তর দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং মানসম্পন্ন পণ্য
উৎপাদনের ভূমিকা রাখবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসা বাণিজ্য বিনিয়োগ বিষয়ক সংগঠন
যেমন কোরিয়ান চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি, কোরিয়া ইন্টারন্যাশন্যাল
ট্রেড এজেন্সি, কোরিয়া ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন, কোরিয়া ট্রেড এন্ড
ইনভেন্টমেন্ট এজেন্সি, বুসান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর
মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা
নিয়ে কাজ করার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।
লেখকঃ বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত।