এশিয়ান
কাপ বাছাইয়ে হোম এন্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে বাংলাদেশ ছয়টি ম্যাচ খেলবে। তিনটি
হোম ম্যাচ তিন ভেন্যুতে করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন
(বাফুফে)। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুনের ম্যাচটি ঢাকায় হলেও, তারা ভারত এবং
হংকংয়ের সঙ্গে দুই হোম ম্যাচ সিলেট-চট্টগ্রামে আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে।
বাফুফের
কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক জাতীয় ফুটবলার গোলাম গাউস বলেন,
‘ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ সিলেটে এবং বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ আমরা চট্টগ্রামে
আয়োজন করতে চাই। ফুটবল উন্মাদনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য
তিনটি হোম ম্যাচ তিন জেলায় আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
বছর
চার-পাঁচেক আগেও সিলেট ছিল বাংলাদেশের ফুটবলে সেরা ভেন্যু। সেই ভেন্যু এখন
বাফুফে ব্যবহার করছে না। তবে ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি সিলেট জেলা
স্টেডিয়ামে করার উদ্যোগ বাফুফের। ‘সিলেট স্টেডিয়ামে কোটি টাকার ওপর বিল
বকেয়ার একটি বিষয় রয়েছে। আরও আনুষাঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনা করার জন্য আমরা
সিলেট যাচ্ছি শিগগিরই’, বলছেন নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন।
বাফুফেকে
চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম ৩০ বছরের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
তাই ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ চট্টগ্রামের আয়োজনের ভাবনা ফেডারেশনের।
সেই আলোকে বাফুফে ২৬ এপ্রিল নির্বাহী সভা চট্টগ্রাম আয়োজন করতে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম ফুটবলকে বরাদ্দ দেওয়ায় খানিকটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে
স্থানীয়দের মধ্যে। সে কারণে ২৬ এপ্রিল নির্বাহী সভার আগে চট্টগ্রাম জেলা ও
ক্রীড়া প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সভারও পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের। ১০ জুন
সিঙ্গাপুর ম্যাচ জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাফুফে মাঠের
কাজও শুরু করেছে। আগামীকাল বিকেল ৩টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাফুফে দুই
পক্ষের কর্তারা আবার স্টেডিয়াম পরিদর্শন করবেন।
১০ জুন সিঙ্গাপুরের
ম্যাচটি জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের সিদ্ধান্ত এসেছিল কম্পিটিশন কমিটির সভায়।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিষয়টি
সভায় আলোচনা হয়নি। সভার আলোচনা ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই উদ্যোগের ব্যাখ্যা
সম্পর্কে কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা, ‘সিলেট ও চট্টগ্রামে
অনেকদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় না। দুই স্টেডিয়াম পরিদর্শন এবং আন্তর্জাতিক
ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) অনুমোদনেরও বিষয় রয়েছে। এই কাজগুলো এগিয়ে রাখার
পর আমরা কম্পিটিশন কমিটির সভায় আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের সভাপতির
প্রাথমিক নির্দেশনা ফুটবল বিকেন্দ্রীকরণের।’