বাংলাদেশ
আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরীর আয়োজনে রূপসী বাংলা কলেজ
অডিটোরিয়ামে শিক্ষকদের নিয়ে আজ ঈদ প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ
আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক মু. ইফতেখার
আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য
রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক
একেএম এমদাদুল হক মামুন, সহকারী সেক্রেটারী মো. কামরুজ্জামান সোহেল,
কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম। আমন্ত্রিত
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক নেতা অধ্যাপক মো. সহিদুল ইসলাম, শিক্ষক
বিভাগের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক
বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরীর সেক্রেটারী অধ্যাপক আবু
আকমান মাসউদ, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরীর সহকারী
সেক্রেটারী মো. রফিকুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. আবদুল
হাই শরিফ, শিক্ষক বিভাগের ২ নং ওয়ার্ড এর সভাপতি মিয়া মো. সোহেল, ১নং
ওয়ার্ড এর সভাপতি নাজমুল হাসান।
ঈদ প্রীতি সমাবেশের প্রধান অতিথি কাজী
দ্বীন মোহাম্মদ তাঁর বক্তব্যে শিক্ষকদের উদ্দেশ্য বলেন- আদর্শ জাতি গঠনে
শিক্ষক সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিক্ষার্থীরা আপনাদের কাছ থেকেই সততা,
ন্যায়পরায়নতা ও নৈতিক গুণাবলি শিখবে। কোরআন ও সুন্নার আলোকে তাদের নৈতিক
ভিত্তি গড়ে তুলতে হলে আপনাদেরকেই সবার আগে নৈতিক গুণে গুণান্বিত হয়ে আদর্শ
শিক্ষক হতে হবে। আজ মুসলিম বিশ্ব কোরআন হাদিসের পথ থেকে দূরে সরে যাওয়ার
কারনেই বিধর্মীরা আমাদের নানা ভাবে শোষণ নির্যাতন করছে। মুসলিম বিশ্বের
সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের অভাবে ফিলিস্তিনের মুসলমানরা আজ ইসরায়েলী হায়নাদের
কাছে নিজ ভূমিতে শাহাদাৎ বরণ করছে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, চিকিৎসা সেবা
ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে , নিজ ভূমি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। তাই মুসলিম বিশ্ব
নেতাদের আজ এক মঞ্চে দাড়িয়ে ইসরায়েলের কণ্ঠ চেপে ধরতে হবে, ফিলিস্তিনীদের
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তাদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। যেখানে অন্যায়
সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে কোরআন ও
হাদিসে আলোকে গড়ে তুলতে হবে। অতিথিদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে সুমধুর কণ্ঠে
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকরা ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে ও ঈদুল
ফিতর উদযাপনের স্মৃতিচারণ করে। পরিশেষে ঈদ প্রতি সমাবেশে অংশগ্রহণকারী
প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক এক সাথে নৈশভোজ গ্রহণ করে।