ফিলিস্তিনের
গাজায় ইসরাইলের ক্রমাগত বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় হতে
যাওয়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জমায়েত ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশ নিতে যাচ্ছে
কুমিল্লার অন্তত ১০ হাজার মানুষ। তারমধ্যে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ও
খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন ইসলামী দলের কুমিল্লা জেলা ও মহানগর কমিটির প্রায়
৭-৮ হাজার নেতাকর্মী অংশ নিবেন বলে জানান নেতৃবৃন্দ।
শনিবার ১২ এপ্রিল
বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে ঢাকার শাহবাগ থেকে মানিক
মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত হবে এই মার্চ। কর্মসূচীটির ডাক দিয়েছেন
‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম’। মনে
করা হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সকল রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সর্বস্তরের
মানুষ এক কাতারে এসে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করবেন।
মার্চ
ফর গাজায় অংশ নেয়ার বিষয়ে কুমিল্লা খেলাফতে মজলিসের কুমিল্লা মহানগর
সভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম কুমিল্লা মহানগরের জয়েন্ট সেক্রেটারি আবদুল কাদের
জামান বলেন, শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে মার্চ ফর গাজায়
কুমিল্লা থেকে হেফাজতে ইসলাম ও খেলাফত মজলিসের কুমিল্লা জেলা ও মহানগরসহ
বিভিন্ন ইউনিট থেকে অন্তত ৫-৬ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নিবেন। অংশ
নিতে শনিবার সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ইউনিটের নেতৃত্বে রওনা
দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করবেন। এটি সাংগঠনিক নির্দেশনা।
এদিকে প্যালেস্টাইন
সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের এ কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার বিষয়ে কুমিল্লা
মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী ও প্রচার সম্পাদক কামরুজ্জামান
সোহেল বলেন, ঢাকায় মার্চ ফর গাজায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে সাংগঠনিক কোন
আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না থাকলেও কুমিল্লা মহানগর ও জেলার নেতাকর্মীরা
ব্যক্তি উদ্যোগে গাজায় ইসরাইলের ক্রমাগত বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যার
প্রতিবাদে অংশ নিবেন। ব্যক্তি উদ্যোগে অংশ নিলেও কুমিল্লা থেকে অন্ত ৩-৪
হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নিবেন।
এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করবেন মাওলানা খতীব আব্দুল মালেক (বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ)।
এদিকে,
শুক্রবার কুমিল্লা বিভিন্ন জায়গায় ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের ক্রমাগত
বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা।
সমাবেশে তারা বলেন, গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরাইলের পক্ষ থেকে চলমান
গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আজ বিশ্বের বিবেকবান মানুষ সোচ্চার। ছয়
শত কোটি মানুষের চোখের সামনে একটি ভূখণ্ডে প্রতিনিয়ত বেসামরিক নাগরিকদের
ওপর চালানো হচ্ছে অবর্ণনীয় সহিংসতা—যেখানে নারী ও শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না।
বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,
হাসপাতালসহ মৌলিক অবকাঠামো। অথচ ৫৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, ওআইসি
এবং তাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক শক্তিও এ মানবিক সংকট মোকাবেলায় এখনো সক্রিয়
কোনো উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থ।