কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে তিন পরিবারের সব কিছু। এতে নগদ
টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ অন্তত ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতি
হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল আউয়াল নাছির। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার
রাতে দেড়টায় উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের কাকৈরখোলা গ্রামে। তবে আগুন
লাগার সঠিক কারণ কেউ বলতে পারেনি। রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম
ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মেহেদী হাসান।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে
জানা গেছে, শনিবার রাত দেড়টায় কাকৈরখোলা গ্রামে মাস্টার নূর আহমদের
পরিত্যক্ত ঘর থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান
শিখা পাশের আবদুল আউয়াল নাসির, আবদুল মমিন ও অহিদুর রহমানের ঘর পুড়ে ছাই
হয়েছে। খবর পেয়ে গ্রামবাসী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে তিন পরিবারের বসতঘরে থাকা নগদ টাকা,
স্বর্ণালঙ্কার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ অন্তত ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল
পুড়ে ছাই হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল আউয়াল নাসির বলেন, ‘আমার চাচা
মাস্টার নুর আহমদের পুরাতন ঘর থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন পরিবারের বসতঘর ও
ঘরে থাকা সব কিছু ছাই হয়ে যায়। পরণের কাপড় ছাড়া আমরা কিছুই বের করতে
পারিনি। এখন আমরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি’।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার
সার্ভিসের ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে
দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। ধারণা করা হচ্ছে-বিদ্যুতের
শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তদন্ত করলে মূল কারণ জানা যাবে’।