বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা,
ঢাকঢোল,নৃত্য গীত,বাঁশি, ঝুনঝুনি,বেলুন, কৃষান,কামার-কুমোর ইত্যাদি বাঙালির
চিরায়ত ঐতিহ্যের প্রতিকৃতি নিয়ে কুমিল্লার প্রায় ৩০ টি সাংস্কৃতিক ও
সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত "সচেতন সাংস্কৃতিক ফোরাম"
র্যালির/শোভাযাত্রা মধ্যে দিয়ে এবার ১ লা বৈশাখ বরণ করেছেন।
কান্দিরপাড়সহ মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রা শেষ হয় শিল্পকলা একাডেমি
প্রাঙ্গণে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ২য় পর্ব শুরু হয়, নির্মিত মঞ্চে, এখানে
আলোচনা, চিত্রাঙ্গন পুরস্কার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে রাত অবধি। শতশত
সাধারণ মানুষ রেলি ও আলোচনা-মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
সমাজের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ নানা পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশগড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বাঙালির ঐতিহ্য,
সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য বর্তমান প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
সচেতন
সাংস্কৃতিক ফোরামের ১লা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ এর আহ্বায়ক ড. শাহ মো সেলিমের
সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন সদস্য সচিব অধ্যক্ষ বিধান চন্দ।
উপস্থাপনায় ছিলেন বিপ্লব মজুমদার, পুরস্কার বিতরণ অধ্যক্ষ বিধান চন্দ ও
চন্দন দেব রায়। বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদ এর যুগ্ম আহবায়ক শেখ আবদুল
মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক বশিরুল আনোয়ার, দৈনিক
শিরোনাম সম্পাদক নীতিশ সাহা,উদীচী সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ, লেখক ও সংগঠক
মোতাহার হোসেন মাহাবুব, সাবেক সাংস্কৃতিক সংগঠক জসীম উদ্দিন আহমেদ, এনসিপি
কেন্দ্রীয় মূখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ দ্রুভ, আর্ট নার্সিং কলেজ এর
অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মোছাফ্ফা, এডভোকেট শামসুল আলম মোহন, বাংলার আলোড়ন
সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক জে.এন. লিলি, নারী উদ্যোক্তা ও নেত্রী
শাহানা হক,রাজনীতিক সাইদুর রহমান তামান্না, সাংস্কৃতি সংসদ এর সভাপতি আবুল
কাসেম,অধ্যাপক মো: ফারুক সরকার, কুমিল্লা সাহিত্য সংসদের সভাপতি মো: নূরুল
আলম মিয়াজি, যুব ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদ রায়হান,
ছাত্র সমন্বয়ক রাসেল খান। আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়, তারপর
শুরু হয় জাতীয় সংগীত ও বৈশাখী গান-এসো হে বিশাখ, একে একে উদীচী,সংস্কৃতি
সংসদ, উপজাতি গানও নৃত্য, কচিকাঁচা মেলার পরিবেশনা,যাত্রী, ভৈরবী সহ আরো
অনেকে সংগীত পরিবেশন করেন, শেষ পর্যায়ে পরিবেশন হয় বাউল গান। এভাবেই শেষ হয়
সচেতন সাংস্কৃতিক ফোরাম এর নববর্ষের অনুষ্ঠান। যারা এসেছিল, প্রান ভরে
উপভোগ করে গেছেন। বাঙ্গালির প্রানের মেলা পহেলা বৈশাখ, সার্বজনীন উৎসব
বৈশাখী উৎসব, এভাবেই বাঙালিরা এক থাকবে এক বাঙালী জাতি।