
কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটিকাটা রোধে অভিযান
চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) উপজেলার বারেরা, চরবাকর ও লক্ষীপুর এলাকায় গোমতী নদীর
বেড়িবাঁধের ভিতর হতে মাটি কাটার সময় ২টি ট্রাক্টর জব্দ করেন উপজেলা
নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন।
এসময় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০
অনুযায়ী বিল্লাল হোসেন নামে এক জনের বিরুদ্ধে ১টি মামলায় ১ লাখ টাকা
অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাস কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পরে আটক ওই ব্যক্তি ১ লক্ষ
টাকা পরিশোধ করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিল্লাল হোসেন পৌরসভার বারেরা
গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে।
বেঁড়িবাঁধের ভিতরের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা বলছেন, দেবিদ্বারের একটি চক্র
দীর্ঘদিন গোমতী নদীর ভিতরের মাটি লটু করে শতাধিক ইটভাটায় নিয়ে যায়।
এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সড়ক ও বেঁড়িবাঁধ। ধুলায় বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এ
নিয়ে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করলেও
থামানো যাচ্ছে না। এই চক্রের মূল হোতাদের মধ্যে রয়েছে জাফরগঞ্জ বাজারের
চিহ্নিত মাটিখেকো আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম। প্রশাসন তাকে কোন
জেল জরিমানার সাজা দিচ্ছে না। এই মাটি কাটা বন্ধ না হলে বন্যায় বেঁড়িবাঁধ
অরক্ষিত হয়ে পড়বে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন
বলেন, গোমতী নদী থেকে মাটি কাটায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে । পরে
একটি মামলায় ওই ব্যক্তিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড দেয়া
হয়। অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে ও গোমতী বেড়িবাঁধ রক্ষায় এ ধরনের
অভিযান অব্যাহত থাকবে।