মাঝের
পরপর হারগুলোই কি শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ হয়ে থাকবে শেফিল্ড ইউনাইটেডের জন্য?
অক্সফোর্ড, মিলওয়াল কিংবা প্লিমাউথ– কেউই প্রতিপক্ষ বিবেচনায় খুব একটা কঠিন
ছিল না। কিন্তু তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেতে হয়েছে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড
ইউনাইটেডকে। আর সেটাই সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে ওঠার ক্ষেত্রে রাস্তা কঠিন
করেছে দ্য ব্লেডসদের জন্য।
এই মুহূর্তে ইংলিশ প্রথম বিভাগ ফুটবলে তিনে
আছে শেফিল্ড। ৪৩ ম্যাচ শেষে যাদের সংগ্রহ ৮৬ পয়েন্ট। প্রথম দুই স্থান দখল
করে রাখা লিডস ইউনাইটেড এবং বার্নলির পয়েন্ট ৯১। চ্যাম্পিয়নশিপে বাকি আছে
আর ৩ ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই শেফিল্ডের জন্য সরাসরি প্রমোটেড হওয়ার রাস্তা
কিছুটা কঠিন হতে যাচ্ছে। শেষ ৩ ম্যাচে নিজেদের হারা যেমন নিষেধ তাদের জন্য,
তেমনি তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি ম্যাচগুলোর জন্য।
এরইমাঝে আগামীকাল রাতে
মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বার্নলির বিপক্ষে মাঠে নামছে শেফিল্ড ইউনাইটেড।
দুইয়ে থাকা বার্নলির বিপক্ষে এই ম্যাচে জয় পেলে ব্যবধান নেমে আসবে দুইয়ে।
সেক্ষেত্রে বার্নলি শেষ দুই ম্যাচে অন্তত ১ ম্যাচে ড্র করলেও শেফিল্ডের
সামনে সুযোগ থাকবে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে চলে যাওয়ার। যদিও সেখানে গোল
ব্যবধানের একটা হিসেব থেকেই যাচ্ছে।
শেষ তিন ম্যাচে শেফিল্ডের সামনে বড়
নাম এই বার্নলি। বাকি দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ পয়েন্ট তালিকার ১৬তম
স্থানে থাকা স্টোকসিটি এবং ১০ নম্বরে থাকা ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স।
বার্নলির
সূচিও খুব একটা কঠিন না। শেফিল্ড ছাড়া তারা খেলবে ১৪তম স্থানে থাকা কুইন্স
পার্ক রেঞ্জার্স এবং মিলওয়ালের বিপক্ষে। আর শীর্ষে থাকা লিডস ইউনাইটেডের
প্রতিপক্ষ স্টোক সিটি, প্লিমাউথ এবং ব্রিস্টল সিটি। এদের মাঝে ৫ম স্থানে
থাকা ব্রিস্টলই বড় চ্যালেঞ্জ তাদের জন্য।
তালিকার শীর্ষ দুইয়ে থাকতে না
পারলে প্রিমিয়ার লিগে ওঠার জন্য হামজা এবং শেফিল্ডকে খেলতে হবে
চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ। যেখানে অংশ নেবে লিগ তালিকায় ৩য় থেকে ৬ষ্ঠ স্থানে
থাকা ৪ দল। বর্তমানে যেখানে আছে শেফিল্ড ইউনাইটেড, সান্দারল্যান্ড,
ব্রিস্টল সিটি এবং কভেন্ট্রি সিটি।
এদিকে হামজার বর্তমান ক্লাব শেফিল্ড
যখন প্রিমিয়ার লিগে ফেরার মিশন, তখন তার মূল দল লেস্টার সিটি আছে অবনমন
ঠেকানোর মিশনে। প্রিমিয়ার লিগে ১৯তম স্থানে আছে দ্য ফক্সেসরা। বাকি থাকা ৬
ম্যাচের সবকটা জিতলেও তাদের প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকা কিছুটা অনিশ্চিত।
একইসঙ্গে
অনিশ্চিত হামজার ভাগ্যটাও। শেফিল্ড প্রিমিয়ার লিগে ফিরলেই কেবল তাকে রেখে
দেয়া হতে পারে ব্লেডসদের স্কোয়াডে। আবার শেফিল্ড বা লেস্টার দুটোই
প্রিমিয়ার লিগে না ফিরলে হামজাকে আরও একটা মৌসুম হয়ত থেকে যেতে হবে
চ্যাম্পিয়নশিপে।