কুমিল্লায়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের মামলায় নিরাপরাধ এক অটোচালককে ফাঁসানো হয়েছে
বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবার। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি স্থানীয় জামায়াতের
সক্রিয় কর্মী বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমীর। ভুক্তভোগী মো.
কামাল হোসেন আদর্শ সদর উপজেলার ১নং কালিরবাজার ইউনিয়নের কামাইরবাগ গ্রামের
মো.আয়াত আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার
বাদি গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে বিবাদী ভুক্তভোগী কামাল হোসেনকে তিনি
ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না বলে জানান। তবে যেহেতু মামলাটি রাজনৈতিক তাই
প্রাসঙ্গিকভাবে তার নাম এসেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
জানা গেছে, গত ১৮
জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে চলাকালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি
এলাকায় ছাত্রআন্দোলন চলাকালে হামলার ঘটনায় কোতয়ালী থানায় বাদি মোহাম্মদ
গোলাম মোস্তফা ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০০/১৫০ নামে একটি মামলা
দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামী কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক এমপি আ.ক.ম
বাহার উদ্দিন বাহার। দায়ের কৃত মামলায় ১২নং আসামী করা হয়েছে কামাল হোসেনকে।
ওই মামলায় গত ৮ এপ্রিল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে সে
কারাগারে আছে।
ভুক্তভোগী কামাল হোসেনের বাবা আয়েত আলী বলেন, আমার ছেলে
কামাল হোসেন একজন অটোচালক। তাকে বিনা কারণে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সে কোন
রাজনীতি করে না। এলাকার একটি চক্র শত্রুতা করে তার নামে মামলায় দিয়েছে।
ঘটনার সময় সে মারামারি করতে যাযনি। মামলায় আমার ছেলের নাম প্রত্যহারের
দাবি জানাচ্ছি এবং তার মুক্তি চাই।
কালির বাজার জামায়াতের ইউনিয়ন আমীর
মো. কাজী জাকির হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী কামাল হোসেন কালির বাজার ইউনিয়নের
৪নং ওয়ার্ডের জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। তাকে বৈষম্যবিরোধী একটি মামলায়
ফাঁসানো হয়েছে। আমরা তাঁর মুক্তি দাবি করছি। সে কারাগারে থাকায় অর্থসংকটে
পরিবারি এখন পথে বসার উপক্রম।
বাদী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার
মামলায় কেউ এরেস্ট হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি মামলার অনেক আসামীকে চিনা
না। তবে কুমিল্লার এক বিএনপি নেতা আমাকে বাদি করে মামলাটি করিয়েছেন। নিরিহ
কাউকে যদি মামলায় ফাঁসানো হয় তাহলে তাহলে তার অভিভাবক আমার সঙ্গে যোগাযোগ
আমি তাকে সহযোগিতা করবো।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী
দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, স্থানীয় জামায়াতের নেতারা আমাকে বলেছেন, ভুক্তভোগী
কামাল হোসেন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। তাই তাকে প্রত্যায়ন দেয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু তদন্তে আসল সত্য বের হউক এটা আমরা চাই। কোন নিরপরাধ লোক যেন হয়রানির
শিকার না হয় এটা দাবি করছি।