ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে ডি-গ্রেডে অবনমনের
প্রতিবাদ ও বি-গ্রেডে পুন:বহালের দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছে
ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ। গতকাল মঙ্গলবার (২২এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত
আশুগঞ্জ রেল স্টেশনের ১নং প্লাটফর্মে দুই ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
হয়। এসময় আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ক্রীড়া
সংগঠনসহ সাধারণ লোকজন মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে বক্তারা এক
সপ্তাহের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দেন। এর আগে
নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মাঝে ৫
শতাধিক গোলাপ ফুল ও ১ হাজারেরও বেশী পানির বোতল বিতরণ করেন ঐক্যবদ্ধ
আশুগঞ্জ এর সদস্যরা। এসময় ট্রেনের লোকেমেটিভ মাষ্টার, গার্ড, স্টুয়ার্ড ও
উপকূল এক্সপ্রেস ফেসবুক পেজের এডমিনদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মানববন্ধনে
বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা
জামায়াতে ইসলামীর আমীর শাহজাহান ভূইয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ
সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, শহর শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম হোসেন
ইপটি, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক, সাবেক সাধারণ
সম্পাদক আল মামুন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোবারক হোসেন,
প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, যুবদল সভাপতি আলমগীর খান সহ অনেকেই
বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, আশুগঞ্জ হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম
শিল্প ও বন্দর নগরী। এখানে আটটি কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার লোকজন চাকরির সুবাদে বসবাস করেন। এখানে চাহিদার
তুলনায় ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও আসন বরাদ্দ খুবই নগন্য। যার কারনে যাত্রীদের
চলাচলে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কয়েক বছর আগে কোন কারণ ছাড়াই স্টেশনটিকে
বি গ্রেড থেকে ডি গ্রেডে নামিয়ে আনা হয়। এখানে সংকেত বাতির ব্যবস্থা নেই।
আগুগঞ্জ-ভৈরবের মাঝামাঝি সেতুতে প্রতিনিয়ত ট্রেন থেকে ছিনতাই হচ্ছে। যার
কারণে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনকে বি গ্রেডে পুন:বহাল। বি গ্রেডের সকল সুযোগ
সুবিধা বাস্তবায়ন। স্টেশন মাস্টার ও আধুনিক সিগনালিং সিস্টেমের ঘাটতির
কারণে যাত্রী ওঠানামায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে তাই দ্রুত সিগন্যালিং ব্যবস্থা
শুরু করা। ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী, সুবর্ণচর এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস,
মহানগর গোধূলি ও পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপিজের ব্যবস্থা, সুপেয় খাবার
পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা, টিকিট কালোবাজারি ও স্টেশনে অসামাজিক কার্যকলাপ
বন্ধে জিআরপি ফাঁড়ির ব্যবস্থা, রাত্রিকালীন আলো ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার
ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত লোকবলের ব্যবস্থা, প্রথম ও দ্বিতীয় প্লাটফর্মের পরিধি
বৃদ্ধি, উন্নতমানের ভিআইপি বিশ্রামাগার স্থাপন, দ্বিতীয় শ্রেণির
বিশ্রামাগারের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্টেশনের আউটারে ও রেলসেতু এলাকায়
নিরাপত্তা বেস্টনী তৈরি করার দাবি জানান তারা। এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি পূরণ
না হলে রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দেন বক্তারা।