বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২
ক্লাসিক ট্রাজেডি হ্যামলেট
জুলফিকার নিউটন
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৮ এএম আপডেট: ২৩.০৪.২০২৫ ২:১২ এএম |




 ক্লাসিক ট্রাজেডি হ্যামলেট শেক্সপিয়ার বিশেষজ্ঞ আনের্স্ট জোনসের বিচারে হ্যামলেট দৃঢ়চিত্ত যুবক বটে, কিন্তু সে এমন এক গভীর গূঢ়ৈষার দ্বারা আক্রান্ত, যাকে সে চেতনার স্তরে আসতে দিতে অনিচ্ছুক, হয়তো অক্ষম (ঊৎহবংঃ ঔড়হবং: ঐবসষবঃ ্ ঙবফরঢ়ঁং)। ফ্রয়েডীয় শাস্ত্রে এই গূঢ়ৈষার নাম ঈডিপাস কমপ্লেক্স। হ্যামলেট তার মা-র প্রতি আশৈশব আসক্ত; জননীর প্রশ্রয়ে তা ক্রমে প্রবলতর হয়েছে; এই আসক্তির ভিতরে নিহিত আছে পিতার প্রতি তার ঈর্ষা এবং মাতাকে একান্ত অধিকারের কামনা এই আসক্তি ও কামনার উদ্গতি ঘটেনি। অবচেতনে তাদের বিরুদ্ধ করার সূত্রে তাদের সঙ্গে জড়িত হয়েছে পাপবোধ এবং শাস্তির ভয়। হ্যামলেটের নির্বেদ, সংশয়, অস্থিরচিত্ততা, প্রতিশোধের দায়িত্বপালনে দীর্ঘসূত্রতা, মৃত্যুভয় ও দুঃস্বপ্নের বারংবার উল্লেখ -সব কিছুর মধ্যে জোন্স্ দেখেছেন এই ঢ়ৈষার উপস্থিতি -যাকে স্বীকার করে নেবার মতো না আছে তার সাহস না সামর্থ্য-এবং যার ফলে সে বিবেকী যন্ত্রণার চাপে বিমূঢ়। তার মগ্ন চৈতন্যে পিতার মৃত্যু এবং মাতার অন্য পুরুষে সংগত হওয়া পূর্বেই কল্পিত এবং দমিত হয়েছিল। ক্লডিয়াস-মৃত পাপের মধ্যে নিজের নিষিদ্ধ কামনার প্রতিফলন তার প্রতিশোধবৃত্তিকে দুর্বল করে। কিন্তু ক্লডিয়াসের ভ্রাতৃহত্যা তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেনি যতটা করেছিল তার জননীর ব্যভিচারিতা। যাকে সে অতি সংগোপনে একান্তভাবে নিজের করতে চেয়েছিল সে যখন এত দ্রুত অন্য পুরুষের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হল, তখন তার মনে হল আত্মহত্যাই কাম্য, বিশ্বজগৎ অর্থহীন।
ঙ ঃযধঃ ঃযরং ঃড়ড় ঃড়ড় ংষরফ ভষবংয ড়িঁষফ সবষঃ....ঙ এড়ফ, এড়ফ
ঐড়ি ডবধৎু, ংঃধষব, ভষধঃ ধহফ ঁহঢ়ৎড়ভরঃধনষব
ঝববস ঃড় সব ধষষ ঃযব ঁংবং ড়ভ ঃযরং ড়িৎষফ! (প্রথম অঙ্ক, দ্বিতীয় দৃশ্য)
এমনতর ঠেকবার কারণঃ
ঊৎব ুবঃ ঃযব ংধষঃ ড়ভ সড়ংঃ ঁহৎরমযঃবড়ঁং ঃবধৎং
ঐধফ ষবভঃ ঃযব ভষঁংযরহম রহ যবৎ মধষষবফ বুবং,
ঝযব সধৎৎরবফ, ঙ সড়ংঃ রিপশবফ ংঢ়ববফ!....ঃড় ঢ়ধংঃ
ডরঃয ংঁপয ফবীঃবৎরঃু ঃড় রহপবংঃঁড়ঁং ংযববঃং.
হ্যামলেট প্রার্থনারত ক্লডিয়াসকে একা পেয়েও তাকে হত্যা করেনি, কিন্তু তারপরেই সে ছুটে গেছে গেরট্রুডের শয়নকক্ষে, এবং সেখানে প্রায় হিংস্রভাবে যে ভাষায় সে তার মাকে আক্রমণ করেছে তা যেন প্রচন্ড আঘাতে বিস্ফোরিত গূঢ়ৈষার চিহ্নবাহী:
ণড়ঁ পধহ হড়ঃ পধষষ রঃ ষড়াব; ভড়ৎ ধঃ ুড়ঁৎ ধমব
ঞযব যবু-ফধু রহ ঃযব নষড়ড়ফ রং ঃধসব..........জবনবষষরড়ঁং ঐবষষ,
ওভ ঃযড়ঁ পধহংঃ সঁঃরহব রহ ধ সধৎঃৎড়হ’ং নড়হবং.........
ঝঃববিফ রহ পড়ৎৎঁঢ়ঃরড়হ, যড়হবুরহম ধহফ সধশরহম ষড়াব
ঙাবৎ ঃযব হধংঃু ংঃু.....
এড়ড়ফ হরমযঃ: নঁঃ মড় হড়ঃ ঃড় সু ঁহপষব’ং নবফ (তৃতীয় অঙ্ক, চতুর্থ দৃশ্য)
তবুু বিশ্বাস নেই। ব্যভিচারী ভ্রাতৃঘাতী ক্লডিয়াসের কামোদ্দীপনে বিগলিত হয়ে যদি তার জননী সন্তানের গোপন কথা ফাঁস করে দেয় তাই কাটা ঘায়ে নুন ছড়ানো দরকারঃ
খবঃ ঃযব নষড়ধঃ শরহম ঃবসঢ়ঃ ুড়ঁ ধমধরহ ঃড় নবফ;
চরহপয ধিহঃড়হ ড়হ ুড়ঁৎ পযববশ; পধষষ ুড়ঁ যরং সড়ঁংব;
অহফ ষবঃ যরস ভড়ৎ ধ ঢ়ধরৎ ড়ভ ৎবপযু শরংংবং, 
ঙৎ চধফফষরহম রহ ুড়ঁৎ হবপশ রিঃয যরং ফধসহ’ফ ভরহমবৎং,
গধশব ুড়ঁ ৎধাবষ ধষষ ঃযরং সধঃবৎ ড়ঁঃ........
গ্রেরট্রুড-এর চরিত্র যতই ঝাপসা হোক, হ্যামলেটের মানস বিপর্যয়ের একটি প্রধান সূত্র যে মাতা-পুত্রের সম্পর্কের ভিতরে নিহিত, সে বিষয়ে সংশয়ের অবকাশ রাখেন নি।                                                                                  
কিন্তু যতই প্রধানই হোক এটিই যে একমাত্র সূত্র নয় তাও সুনিশ্চিত। যেখানে মূল কাহিনীতে প্রতিশোধ নেবার চেষ্টাই মুখ্য বিষয়, সেখানে শেক্সপীয়রের নায়ক কেন যে সে কাজটিকে ক্রমাগতই নানা অজুহাতে পিছিয়ে দিচ্ছে তার ব্যাখ্যা-সূত্রে বিভিন্ন আলোচক হ্যামলেট চরিত্রের বিভিন্ন দিকের ওপরে আলোকপাত করেছেন। দীর্ঘসূত্রতা ব্যাখ্যার এই সব বিভিন্ন প্রয়াস থেকে   অন্তত একটা কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে হ্যামলেট চরিত্র অন্যান্য “রিভেঞ্জ ট্র্যাজেডি”-র নায়কদের মতো কোনও একটি সহজ,সরল আদলে কল্পিত হয়নি, যে এই নায়কের ব্যক্তিতায় বিবিধ, কখনও কখনও বিপরীতমুখী, প্রবণতা সক্রিয়। দীর্ঘদিনের চর্চা সত্ত্বেও হ্যামলেটের আচরণ যে অনেকটা রহস্যময় রয়ে গেছে, তার চরিত্র নিয়ে জল্পনা-কল্পনার যে আজও অন্ত নেই, তার অন্তত একটা কারণ এই বহুমুখী প্রবণতা। অনেকে যেমন তার দার্শনিকতা, সুবেদিতা, নীতিবোধ এবং কল্পনাশক্তির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, অপর অনেকে তেমনই তার আত্মকেন্দ্রিকতা, হৃদয়হীনতা, বিকৃত-কামিতা এবং কর্তব্যবিমুখতার নিন্দা করেছেন। আদি-কাহিনীর নায়ক ছিল মধ্যযুগের মানুষ। কিন্তু শেক্সপীয়রের হ্যামলেট রেনেসাঁসের সন্তান। হ্বিটেনবের্গ বিশ্ববিদ্যালয়েল এই তরুণ ছাত্রের চিন্তায় এবং আচরণে অনেকেই দেখেছেন সংশয়বাদী ভাবুক মঁতাইয়ঁ-র গভীর প্রভাব। (ঋবরং, ঝযধশবংঢ়বধৎব ধহফ গড়হঃধরমহব; ঔড়যহ ঙবিহ, ঞযব ঋরাব এৎবধঃ ঝশবঢ়ঃরপধষ উৎধসধং ড়ভ ঐরংঃড়ৎু)। মানুষের আস্তিত্বিক স্ববিরোধ সম্পর্কে শেক্সপীয়রের নায়ক পূর্ণ সচেতন। রেনেসাঁসের দার্শনিক পিকো দেলা মিরান্দোলার প্রতিধ্বনি করে যে হ্যামলেটের উদ্দীপ্ত ঘোষণা: ডযধঃ ধ ঢ়রবপব ড়ভ ড়িৎশ রং সধহ! যড়ি সড়নষব রহ ৎবধংড়হ! যড়ি রহভরহরঃব রহ ভধপঁষঃরবং! রহ ভড়ৎস ধহফ সড়ারহম যড়ি বীঢ়ৎবংং ধহফ ধফসরৎধনষব! রহ ধপঃরড়হ যড়ি ষরুশব ধহ ধহমবষ! রহ ধঢ়ঢ়ৎবযবহংরড়হ যড়ি ষরুশব ধ মড়ফ! ঃযব নবধঁঃু ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ! ঃযব ঢ়ধৎধমড়হ ড়ভ ধহরসধষং! (দ্বিতীয় অঙ্ক,দ্বিতীয় দৃশ্য)
সেই হ্যামলেটের মুখেই বিমূঢ়া কিশোরী ওফেলিয়া শোনে: ও ধস াবৎু ঢ়ৎড়ঁফ, ৎবাবহমবভঁষ, ধসনরঃরড়ঁং, রিঃয সড়ৎব ড়ভভবহপবং ধঃ সু নবপশ ঃযধহ ও যধাব ঃযড়ঁমযঃং ঃড় ঢ়ঁঃ ঃযবস রহ, রসধমরহধঃরড়হ ঃড় মরাব ঃযবস ংযধঢ়ব, ড়ৎ ঃরসব ঃড় ধপঃ ঃযবস রহ. ডযধঃ ংযড়ঁষফ ংঁপয ভবষষড়ংি ধং ও ফড় পৎধষিরহম নবঃবিবহ বধৎঃয ধহফ যবধাবহ? ডব ধৎব ধৎৎধহঃ শহধাবং, ধষষ; নবষরবাব হড়হব ড়ভ ঁং. (তৃতীয় অঙ্ক, প্রথম দৃশ্য) হ্যামলেটের ওই আত্মনিন্দাকে সত্য কথন বলে মেনে নিয়ে বিখ্যাত স্প্যানিশ ভাবুক মাদারিয়াগা সিদ্ধান্ত করেন যে মনের গঠনের দিক থেকেই হ্যামলেট যেমন স্বার্থপর তেমনই নিষ্ঠুর, স্বার্থসিদ্ধি ছাড়া আর কিছু সে বোঝে না, তার চারিত্রিক ক্রটিকে সে বাগাড়ম্বরে ঢাকবার চেষ্টা করে। কর্তব্য পালনে সে পরাঙ্খুখ, কারণ তার ঝুঁকি বিস্তর। (ঝ. ফব গধফধৎরধমব, ঙহ ঐধসষবঃ)। অপর পক্ষে দুই জার্মান তাত্ত্বিক ওটো রাঙ্ক এবং কুনো ফিশার হ্যামলেটকে ‘কল্পনাবিলাসী’ (চযধহঃধংরব-সবহংপয) বলে চিহ্নিত করেছেন। হ্যামলেটের কল্পনাশক্তি কর্ম ক্ষমতার চাইতে অনেক বেশি প্রবল; “তার উদ্বেলিত প্যাশন কাজের বদলে কথার মধ্যেই নিঃশেষিত হয়ে যায়।” (ঙঃঃড় জধহশ, ুউধং ঝপযধঁংঢ়রবষ রহ ঐধসষবঃ”; কঁহড় ঋরংপযবৎ, ঝযধশবংঢ়বধৎব’ং ঐধসষবঃ”!)।
বস্তুত হ্যামলেট স্বয়ং নিজেকে ভর্ৎসনা করে বলেছে: 
ঞযরং রং সড়ংঃ নৎধাব, ঞযধঃ ও ঃযব ংড়হ ড়ভ ধ ফবধৎ ভধঃযবৎ সঁৎফবৎবফ,
চৎড়সঢ়ঃবফ ঃড় সু ৎবাবহমব নু যবধাবহ ধহফ যবষষ,
গঁংঃ, ষরুশব ধ ংযৎব,ি ঁহঢ়ধপশ সু যবধৎঃ রিঃয ড়িৎফং,
অহফ ভধষষ
ধ-পঁৎংরহম, ষরুশব ধ াবৎু ফৎধন! অ ংপঁষষরড়হ! (দ্বিতীয় অঙ্ক, দ্বিতীয় দৃশ্য)
ফলত হ্যামলেট নাটকে শেক্সপীয়র এমন একটি চরিত্র কল্পনা করেছিলেন কোনও নির্দিষ্ট বর্ণনার ফ্রেমে যাকে ধরতে গেলে তার সামনের পিছনের অনেকটাই বাইরে থেকে যায়। গোয়েটের কথাতেই আমরা আরেকবার ফিরে যাই।
ওফেলিয়ার মুখে আমরা শুনেছি চিত্তভ্রংশ ঘটবার আগে হ্যামলেট ছিল:
ঞযব বীঢ়বপঃধহপু ধহফ ৎড়ংব ড়ভ ঃযব ভধরৎ ংঃধঃব,
ঞযব মষধংং ড়ভ ভধংযরড়হ ধহফ ঃযব সড়ঁষফ ড়ভ ভড়ৎস,
ঞযব ড়নংবৎাবফ ড়ভ ধষষ ড়নংবৎাবং (তৃতীয় অঙ্ক, প্রথম দৃশ্য)
কিন্তু নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে পিতা পলনিয়াসের কাছে সন্ত্রস্ত ওফেলিয়া সেই বিদগ্ধ নায়কেরই এ কী দশার বিবরণ দেয়: 
গু ষড়ৎফ, ধং ও ধিং ংবরিহম রহ সু পষড়ংবঃ,
খড়ৎফ ঐধসষবঃ,-রিঃয যরং ফড়ঁনষবঃ ধষষ ঁহনৎধপবফ,
ঘড় যধঃ ঁঢ়ড়হ যরং যবধফ, যরং ংঃড়পশরহমং ভড়ঁষ’ফ,
টহমধৎঃবৎ’ফ ধহফ ফড়হি-মুাবফ ঃড় যরং ধহপষব;
চধষব ধং যরং ংযরৎঃ, যরং শহববং শহড়পশরহম বধপয ড়ঃযবৎ;
অহফ রিঃয ধ ষড়ড়শ ংড় ঢ়রঃবড়ঁং রহ ঢ়ঁৎঢ়ড়ৎঃ
অং রং যব যধফ নববহ ষড়ড়ংবফ ড়ঁঃ ড়ভ যবষষ
ঞড় ংঢ়বধশ ড়ভ যড়ৎৎড়ৎং-যব পড়সবং নবভড়ৎব সব.
পলনিয়াসের সুচিন্তিত বিশ্বাস প্রেমে ব্যাহত হবার ফলেই যুবরাজের এই চিত্তভ্রংশ-সরলাবালা ওফেলিয়াও বাপের সিদ্ধান্তে সায় দেয়। কিন্তু গোয়েটে তাঁর উপমাটিকে অনুসরণ করে আমাদের অন্য সূত্রের নির্দেশ দেন। যে মূল্যবান পাত্রটিতে ওকের চারারূপী দায়িত্ব রোপণ করা হয়েছিল তাতে বহুগুণের সমাবেশ ঘটে থাকলেও একটি মুখ্য গুণের মারাত্মক অভাব সব কিছুই বানচাল করে দেয়। হ্যামলেটের ভিতরে চরিত্রের সেই দৃঢ়তা ছিল না যা ঐ গুরুভার দায়িত্ব পালনে অথবা বর্জনে সক্ষম। লেয়াটেস পিতৃহত্যার সংবাদ পাওয়া মাত্র ক্লসিয়াসকে খুন করতে গিয়েছিল। কিন্তু হ্যামলেট তো লেয়ার্টেস নয়। প্রতিশোধের গুরু দায়িত্ব পালন করবার মতো তার মনের গঠন নয়। অথচ সেই দায়িত্ব অস্বীকার করবার মানসিক সামর্থ্যও সে অর্জন করেনি।
নিজের এই অক্ষমতার দুঃসহ চেতনা তার সাময়িক চিত্তভ্রংশ, নাটকব্যাপী দীর্ঘসূত্রতা এবং পরিশেষে ট্র্যাজেডির মূলে।
গোয়েটে যে অভাবের কথা বলেছেন কোলরিজ তার হেতু নির্দেশ করেছেন হ্যামলেটের আত্যন্তিক ভাবুকতায়। (ঝ. ঞ. ঈড়ষবৎরফমব, খবপঃঁৎবং ড়হ ঝযধশবংঢ়বধৎব)। হ্যামলেট সব কিছুর কার্যকারণ,ফলাফল, ঔচিত্য-অনৌচিত্য নিয়ে এত বেশি চিন্তানিমগ্ন যে ফলে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছে কাজটি সম্পন্ন করবার ইচ্ছা এবং শক্তি দুই-ই তার আগে থেকে ক্ষীণ হয়ে আসে। তৃতীয় অঙ্ক প্রথম দৃশ্যে হ্যামলেটের স্বগতোক্তি তাঁর এই প্রস্তাবটিকে সমর্থন করে।
অহফ ঃযঁং ঃযব হধঃরাব যঁব ড়ভ ৎবংড়ষঁঃরড়হ
রং ংরপশষরবফ ড়’বৎ রিঃয ঃযব ঢ়ধষব পধংঃ ড়ভ ঃযড়ঁমযঃ,
অহফ বহঃবৎঢ়ৎরংবং ড়ভ মৎবধঃ ঢ়রঃপয ধহফ সড়সবহঃ
ডরঃয ঃযরং ৎবমধৎফ ঃযবরৎ পঁৎৎবহঃং ঃঁৎহ ধধিু,
অহফ ষড়ংব ঃযব হধসব ড়ভ ধপঃরড়হ.
তার মনের ভাবুক গঠন এবং হ্বিটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন চর্চার ফলে সে যে শুধু সব কিছু ব্যাপারেই সংশয় বোধ করে তাই নয়, যা বিশেষ তাকে সামান্য বা সর্বব্যাপী রূপে দেখার প্রবণতাও তার ভিতরে প্রবল। ফলে তার পিতার হত্যার ভিতরে সে দেখে ডেনমার্কের সার্বিক আপজাত্য; হত্যার প্রতিশোধ হয়ে ওঠে দেশের সার্বিক নিরাময় ঘটানোর দায়িত্ব। একজন মানুষকে খুন করা কঠিন নয়, কিন্তু একটা জাতিকে কলুষমুক্ত করা! প্রথম সাক্ষাতের সময়েই পিতার প্রেত তাকে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়: জবাবহমব যরং ভড়ঁষ ধহফ সড়ংঃ ঁহহধঃঁৎধষ সঁৎফবৎ.” কিন্তু হ্যামলেটের মনে সেই নির্দেশ অবিলম্বে রূপান্তরিত হয় অসাধ্য দায়িত্বে:
ঞযব ঃরসব রং ড়ঁঃ ড়ভ লড়রহঃ: ঙ পঁৎংবফ ংঢ়রঃব, 
ঞযধঃ বাবৎ ও ধিং নড়ৎহ ঃড় ংবঃ রঃ ৎরমযঃ ( প্রথম অঙ্ক, পঞ্চম দৃশ্য)
ফলে যেহেতু বিশেষ নির্দেশটি পালন করলেও বিরাট কর্তব্য সামানই অসমাপ্ত রয়ে যাবে, হ্যামলেট প্রতিশোধ নেবার ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহ বোধ করে না।
বিশেষ থাকে সামান্য সিদ্ধান্তে দ্রুত পৌঁছানোর প্রবণতা শুধু কর্তব্য নিষ্পাদনকেই অসাধ্য করে তোলে না, তার ফলে যে কতখানি ক্ষতি হতে পারে হ্যামলেট-ওফেলিয়ার করুণ-কাহিনীতে সেটি আমরা দেখতে পাই। ক্লডিয়াসের ভ্রাতৃহত্যার বিশেষ ঘটনা থেকে যেমন ডেনমার্কের সার্বিক অপচারের সিদ্ধান্ত টানা হয়েছিল, তেমন গেরট্রুডের ব্যভিচারের অভিঘাত থেকে নারী জাতির নৈতিক ভঙ্গুরতা বা চরিত্রহীনতার সিদ্ধান্তে পৌঁছতেও দার্শনিক যুবরাজের বিশেষ দেরি হয়নি। এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর তার প্রয়োগ ঘটল নিরীহ, নির্মৎসর, নিষ্কলুষ কিশোরী ওফেলিয়ার ওপরে। কোমল প্রকৃতি ওফেলিয়া কোনও ব্যাপারেই আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে শেখেনি। ভালবাসাই তার স্বভাব, কিন্তু শেক্সপীয়রের অন্য অনেকে নায়িকার মধ্যে যে দুর্নিবার প্যাশন অথবা বৌদ্ধিক বয়ঃপ্রাপ্তির পরিচয় পাই এই মধুরা তা থেকে একেবারেই বঞ্চিত। এই নাটকের অপর নারী চরিত্র দুর্বলচিত্ত গেরট্রুড যেমন উৎকাক্সক্ষা-উদ্বেলিত লেডি ম্যাকবেথ নয়, ওফেলিয়ার প্রকৃতিও তেমনি অভীক অনন্যতন্ত্র অনুরাগিণী জুলিয়েট অথবা বিচক্ষণ বিজয়িনী পোর্শিয়ার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সংসারী, রক্ষণশীল হ্রস্ববোধ পিতার হিসেবি নির্দেশ সে নির্দ্বিধায় মানতে অভ্যস্ত। সে শুধু হ্যামলেটের উচ্ছ্বসিত প্রেমপত্র কর্তব্য জ্ঞানে পিতা পলনিয়াসের হাতে তুলে দেয় না; রাজপুত্রের প্রেম যে মন্ত্রী-কন্যার নাগালের বাইরে এই সতর্কবাণী শুনে সে পিতার নির্দেশে হ্যামলেটের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ করে, বিনা প্রতিবাদে প্রেমিকের সঙ্গে সব সম্পর্ক তুলে দিতে রাজি হয়। পরে যখন উদ্ভ্রান্ত যুবরাজ বিস্রস্ত বেশবাসে পাণ্ডুর বয়ানে তার সামনে এসে দাঁড়ায়, তার মণিবন্ধ চেপে ধরে তার মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে, তারপর ভগ্ন হৃদয়ে প্রবল দীর্ঘশ্বাস ফেলে তার দিক থেকে নজর না সরিয়ে পিছু হটে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়, তখন এই বিভ্রান্ত কিশোরী পিতার নির্দেশে  ক্লডিয়াসের খাসদরবারে গিয়ে তার কাছে এই ঘটনার রিপোর্ট পেশ করতে একটুও আপত্তি করে না। এবং শেষে যখন বাপের নির্দেশে সে অস্থির পদচারণরত হ্যামলেটের সামনে এসে দাঁড়ায় যাতে আড়াল থেকে হ্যামলেটের আলাপ আচরণ লক্ষ করে ক্লডিয়াস আর পলনিয়াস স্থির নিশ্চিত হতে পারে প্রণয়ে বাধাই হ্যামলেটের অস্বাভাবিক ভাবভঙ্গির কারণ কিনা, তখন আমরা দর্শকরা এই বোকা মেযের কাণ্ড দেখে কপাল চাপড়ানো ছাড়া উপায় দেখি না।
এখন ভাবুক, মেধাবী, কল্পনাপ্রবণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যে এমন একটি নির্বিবোধ, নিরদ্যম, নিরহঙ্কার, পিতৃচালিত কিশোরীর প্রেমে পড়তে পারে এটা এমন কিছু অকল্পনীয় নয়। প্রেম এমনই ব্যাপার যা বিচার বিবেচনার তোয়াক্কা করে না। এবং গভীর আঘাতের ফলে বিপর্যস্ত অবস্থায় সব প্রেমিকই তার ভালবাসার পাত্রীর কাছে মানসিক আশ্রয় ও সহমর্মিতা খোঁজে। পিতার প্রেতের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বিভ্রান্ত হ্যামলেট ওফেলিয়ার কাছে সে কারণেই ছুটে গিয়েছিল। এবং তখনই সে বুঝেছিল তার আত্যন্তিক সংকটের ব্যাপারটা এই নিষ্পাপ এবং অনভিজ্ঞ কিশোরীর বোধবুদ্ধির অগম্য। ফলে ওফেলিয়ার প্রতি তার মন বিমুখ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ওফেলিয়ার বোধবুদ্ধি পরিণত না হলেও তার ভালবাসার কোনও খাদ ছিল না। অপরপক্ষে গেরট্রুডের ব্যভিচার হ্যামলেটের মনে এমনই গভীর আঘাত হেনেছিল যে তার ভাবুক মন এক লাফে বিশেষ থেকে সামান্যের ধারণায় পৌঁছে সমস্ত স্ত্রী জাতিকেই নির্বিশেষে দুর্নীতিপরায়ণ বলে ঘোষণা করল, এবং সেই সিদ্ধান্ত নির্বিচারে চাপিয়ে দিল ওফেলিয়ার ওপরে। তার পদচারণারত অবস্থায় বিখ্যাত স্বগতোক্তির শেষে ওফেলিয়া যখন তার সামনে এসে দাঁড়ায় তখন যাকে সে একদা উচ্ছ্বসিত প্রেমপত্র লিখেছিল তাকে সে শুধু বলল না, এক সময়ে তোমাকে ভালবাসতাম, না তোমাকে ভালবাাসিনি; তারপরই সেই নিষ্পাপ অনুরাগিণীকে অশ্লীল আক্রোশে জানিয়ে দিল:    ওঃ ঃযড়ঁ রিষঃ হববফং সধৎৎু, সধৎৎু ধ ভড়ড়ষ; ভড়ৎ রিংব
সবহ শহড়ি বিষষ বহড়ঁময যিধঃ সড়হংঃবৎং ুড়ঁ সধশব
ড়ভ ঃযবস....এড়ফ যধং মরাবহ ুড়ঁ ড়হব ভধপব, ধহফ ুড়ঁ সধশব
ুড়ঁৎংবষাবং ধহড়ঃযবৎ ুড়ঁ লরম, ুড়ঁ ধসনষব, ধহফ ুড়ঁ ষরংঢ়,
ধহফ সরপহধসব এড়ফ’ং পৎবধঃঁৎবং, ধহফ সধশব ুড়ঁৎ ধিহঃড়হহবংং
ুড়ঁৎ রমহড়ৎধহপব    (তৃতীয় অঙ্ক, প্রথম দৃশ্য)
প্রেমপত্রে সে একদা লিখেছিল বটে “গু ংড়ঁষ’ং রফড়ষ, ঃযব সড়ংঃ নবধঁঃরভরবফ ঙঢ়যবষরধ”, কিন্তু তার প্রেম যে ঠিক নিকষিত হেম ছিল না শেক্সপীয়র তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত করেছেন তৃতীয় অঙ্ক দ্বিতীয় দৃশ্য:
ঐধসষবঃ: খধফু, ংযধষষ ও ষরব রহ ুড়ঁৎ ষধঢ়?
ঙঢ়যবষরধ: ঘড়, সু ষড়ৎফ.
ঐধসষবঃ: ও সবধহ, সু যবধফ ঁঢ়ড়হ ুড়ঁৎ ষধঢ়?
ঙঢ়যবষরধ: অু, সু ষড়ৎফ.
ঐধসষবঃ: উড় ুড়ঁ ঃযরহশ ও সবধহঃ পড়ঁহঃৎু সধঃঃবৎং?
ঙঢ়যবষরধ: ও ঃযরহশ হড়ঃযরহম, সু ষড়ৎফ.
ঐধসষবঃ: ঞযধঃ’ং ধ ভধরৎ ঃযড়ঁমযঃ ঃড় ষরব নবঃবিবহ সধরফ’ং ষবমং.
এই “চমৎকার চিন্তা” কার্যক্ষেত্রে কতটা এগিয়েছিল বলা শক্ত, কিন্তু চতুর্থ অঙ্ক পঞ্চম দৃশ্যে উন্মাদিনী কিশোরী ওফেলিয়ার কণ্ঠে যখন আমরা শুনি:
ঞযবহ ঁঢ় যব ৎড়ংব, ধহফ ফড়হহ’ফ যরং পষড়ঃযবং
অহফ ফঁঢ়ঢ়’ফ ঃযব পযধসনবৎ ফড়ড়ৎ;
খবঃ রহ ঃযব সধরফ, ঃযধঃ ড়ঁঃ ধ সধরফ
ঘবাবৎ ফবঢ়ধৎঃবফ সড়ৎব,.....
ছঁড়ঃয ংযব, নবভড়ৎব ুড়ঁ ঃঁসনষবফ সব,
ণড়ঁ ঢ়ৎড়সরং’ফ সব ঃড় বিফ.
ঝড় ড়িঁষফ ও যধ’ ফড়হব, নু ুড়হফবৎ ংঁহ
অহ ঃযড়ঁ যধফংঃ হড়ঃ পড়সব ঃড় সু নবফ.
তখন একদিকে যেমন ওই ‘চমৎকার চিন্তা’র কথা আমাদের স্মরণে আসে, অন্যদিকে সন্দেহ হয় পিতার অপঘাত-মৃত্যুই কি ওফেলিয়ার চিত্তভ্রংশের একমাত্র, এমনকী প্রধান কারণ, অথবা দায়িত্ববিমুখ অথচ কামাতুর দার্শনিক যুবরাজেরও এ ব্যাপারে বড় ভূমিকা ছিল। বিশেষ থেকে সামান্যে লাফ দেবার দার্শনিক প্রবণতা অনেক সময়ে ব্যক্তিগত দায়িত্ব বিস্মরণের সহায়ক। পর্দার পিছনে আড়িপাতা পলনিয়াসকে হঠাৎ আক্রোশে হত্যা করবার পর হ্যামলেটের একবারও মনে হয়নি পিতার এই আকস্মিক অপমৃত্যু কিশোরী ওফেলিয়ার চিত্তে কী বিপর্যয় ঘটাতে পারে। লাশের ঠ্যাং ধরে টানতে টানতে যখন সে সিঁড়ির কিনারে ফেলে দেয় তখন তার হৃদয়হীনতার পরিমাপ আর গোপন থাকে না। কিশোরী অনুরাগিণীর দেহের আকর্ষণ এবং তার অপরিণত মনের প্রতি গভীর বিরূপতা তাকে কি এতটাই নিষ্ঠুর করে তুলেছিল যে ব্যভিচারিণী জননীর সঙ্গে এই নিষ্পাপ কিশোরীকে একাকার করে দেখতে তার কিছুমাত্র বাধেনি? ফলে যখন ওফেলিয়ার মৃতদেহ কবরস্থ করবার সময়ে লেয়ার্টেস-এর শোক প্রকাশের প্রতিস্পর্ধী রূপে তাকে কবরের ভিতরে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখি তার শোকবোধ আমাদের মোটেই গভীর, এমনকি অকৃত্রিম বলেও ঠেকে না। ভাই যেখানে প্রার্থনা করে বোনের নিষ্কলঙ্ক দেহ থেকে ভায়োলেট পুষ্পরাশি যেন উদ্ভূত হয়, গেরট্রুড যেখানে কবরে ফুল ছড়িয়ে বলে ঝবিবঃং ঃড় ঃযব ংবিবঃ: ভধৎববিষষ, সেখানে স্বকামী যুবরাজ কবরের ভিতরে সগর্জনে লম্ফ দিয়ে পড়ে ঘোষণা করে: ঞযরং রং ও / ঐধসষবঃ ঃযব উধব. সে দাবি করে যে চল্লিশ হাজার ভাইয়ের ভালবাসাও ওফেলিয়ার প্রতি তার ভালবাসার সমতুল্য নয়। তার ভালভাসার প্রমাণ হিসেবে কী সে পারে না যা লেয়ার্টেস পারে? ভিনিগার পান, কুমীর গিলে ফেলা? ওফেলিয়ার সঙ্গে কবরস্থ হওয়া?
ঘধু, ধহ ঃযড়ঁ ‘ওঃ সড়ঁঃয,
ও’ষষ ৎধহঃ ধং বিষষ ধং ঃযড়ঁ. (পঞ্চম অঙ্ক, প্রথম দৃশ্য)
এবং বিধ অতিশয়োক্তির মন্ত্রেই সে কি একদা অনভিজ্ঞা কিশোরীর হৃদয় হরণ করেছিল? 
হ্যামলেট চরিত্রে তিনি চেয়েছেন ব্যক্তিতার সেই অন্ধকার অন্তর্লোকে প্রবেশ করতে দৃশ্যমান ঘটনাবলি থেকে যাকে আলোচিত করতে অসমর্থ ইঙ্গিত সমৃদ্ধ কাব্য ভাষার পাশেও যা দৃশ্যযোগ্য। 
এখন রেনেসাঁসের সন্তান শেক্সপীয়র গল্পকাহিনী ফাঁদার চাইতে বাস্তব স্ত্রী-পুরুষের বহুবেধ আত্মবিভক্ত রহস্যময় অস্তিত্বের অনুসন্ধান এবং উ˜্ঘাটনকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় বলে মেনেছিলেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটকগুলিতে এই অনুসন্ধানের সার্থক পরিচয় আমরা বারে বারেই পাই। কিন্তু যে সব চরিত্রকে তিনি নাটকের ঘটনা বিন্যাস এবং ভাষা প্রয়োগের অতুলনীয় সামর্থ্যে প্রত্যক্ষ করে তুলেছিলেন তারা নাট্যরূপের সীমাবদ্ধ সামর্থ্যকে লঙ্ঘন করেনি। হ্যামলেট চরিত্রে তিনি যেন চেয়েছিলেন ব্যীক্ততার সেই অন্ধকার অন্তর্লোকে প্রবেশ করতে দৃশ্যমান ঘটনা বিন্যাস যাকে আলোকিত করতে অসমর্থ, ইঙ্গিতসমৃদ্ধ কাব্য-ভাষার পক্ষেও যা দু®প্রবেশ্য হ্যামলেট-চরিত্র প্রসঙ্গে বোয়াজ লিখেছিলেন, “যে মানুষটির নিজের কাছেই তার জীবন রয়ে গেল রহস্যাবৃত বাইরের মানুষ তার গোপন মর্ম কী করে বুঝবে” (ঋ. ঝ. ইড়ধং, ঝযধশবংঢ়বধৎব ধহফ যরং চৎবফবপবংংড়ৎং)। এবং ডোভার উইলসন হ্যামলেটকে “সম্পূর্ণভাবে ক্রটিমুক্ত” বলবার পর আমাদের বোঝাতে চেয়েছিলেন যে হ্যামলেটের দীর্ঘসূত্রতার কারণ আমাদের মতোই হ্যামলেটের কাছেও অবোধ্য বটে, কিন্তু শেক্সপীয়র নাকি তাই চেয়েছিলেন, এবং এই রহস্য যে আমরা ভেদ করতে পারি না এটাই নাকি শেক্সপীয়রের অতুলনীয় শিল্প নৈপুণ্যের প্রমাণ। (উড়াবৎ ডরষংড়হ, ডযধঃ যধঢ়ঢ়বহং রহ ঐধসষবঃ; ঝরী ঞৎধমবফরবং ড়ভ ঝযধশবংঢ়বধৎব).












সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লায় রেল লাইনের উপর ৩ যুবকের খণ্ডিত লাশ
ঘুম, নেশা নাকি ভাগ্য- কোনটি কেড়ে নিয়েছে এই তিন যুবকের প্রাণ?
সিলিন্ডারবাহী পিকআপ উল্টে পুকুরে গোসলরত এক কিশোরের মৃত্যু
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর খন্দকার দেলোয়ারের পাশে ইনসাফ হাউজিং এন্ড ডেভেলাপার্স
কুমিল্লা শহরের পূর্বাংশে শুক্রবার ও পশ্চিমাংশে সোমবার দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় রেল লাইনের উপর ৩ যুবকের খণ্ডিত লাশ
ঘুম, নেশা নাকি ভাগ্য- কোনটি কেড়ে নিয়েছে এই তিন যুবকের প্রাণ?
কুমিল্লা শহরের পূর্বাংশে শুক্রবার ও পশ্চিমাংশে সোমবার দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা
বুড়িচংয়ে বিএনপি’র কমিটি গঠন নিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ
মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২