ভারত
শাসিত জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনী কিংবা নিরাপত্তা রক্ষী নয়, বরং পর্যটকদের
ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে। পর্যটকদের একটি দলের উপর আচমকা গুলি চালায়
বন্দুকধারীরা। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১০ জন।
মঙ্গলবার
কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বাইসারান এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। প্রায়
এক বছরের মধ্যে কাশ্মীর অঞ্চলে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
আহতদেরকে
হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো এর আগে প্রাথমিক খবরে এই
জঙ্গি হামলায় একজন নিহত এবং সাতজন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল।
ভারতীয়
পত্রিকায় বলা হয়েছে, বেশ কয়েক জন পর্যটক ট্রেকিং করার সময় তাদের উপর হামলা
হয়। স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটকদের ভিড়ে মিশে ছিল জঙ্গিরা। গুলির ঘটনার পরই
সেনা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, আহতদের তিনজন স্থানীয় এবং তিন জন রাজস্থানের। সম্প্রতি
কয়েকবছরে কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনা খুব একটা দেখা যায়নি।
জম্মু-কাশ্মীরের
আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় পহেলগাঁও। প্রতি বছর পহেলগাঁওয়ে
প্রচুর পর্যটক বেড়াতে যান। হিমালয়ের কাশ্মীর রাজ্যটি পাকিস্তান এবং ভারত
নিজেদের বলে দাবি করলেও পৃথকভাবে দুই দেশই এটি শাসন করে আসছে।
১৯৮৯ সালে
ভারত বিরোধী বিদ্রোহ শুরুর পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে
গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতা
কিছুটা কমে আসতে দেখা গেছে।
এর আগে কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হমলার ঘটনা
শেষবার ঘটেছিল গতবছর জুনে। সেই হামলায় অন্তত ৯ জন মারা যায় এবং ৩৩ জন আহত
হয়। জঙ্গি হামলার কারণে হিন্দু পূণ্যার্থীদের বাস খাদে পড়ে এ ঘটনা ঘটেছিল।
এবছর
জুলাইয়ে অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য
প্রস্তুতি চলছে। তার আগেই পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা নতুন
করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।