বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ¦ ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার ছেলে সমাজ সেবক ড. শাহপুর রফিক মিয়া বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমি মুরাদনগরে এসেছি। সকলে মিলেমিশে জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমি মুরাদনগরকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশ, বিএনপিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান নেই। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশে ধরিয়ে দিন।
ড. শাহপুর রফিক মিয়া মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীরামপুর তাঁর নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোখছেদুর রহমান আবির।
বিএনপি নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম কাজল, শাহজাহান মাস্টার, বাহারুল ইসলাম, সুলতান মাস্টার, মোজাম্মেল হক নাছির, শফিকুল ইসলাম বাবুল, মোখলেছুর রহমান, মাওলানা আবু ইউসুফ, সুলতান আহাম্মদ, হারুনুর রশিদ মোল্লা, আনিসুল ইসলাম মাস্টার, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও মাওলানা হুসাইন প্রমুখ।ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম রুবেলের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপজেলার ২২ ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ¦ ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। একই সাথে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নিহত ড. শাহিদা রফিকের মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শাহপুর রফিক মিয়া আরো বলেন, ৫ আগষ্টের পরেও সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজিতে মুরাদনগরবাসী অতিষ্ঠ। এটি কুমিল্লা জেলার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সর্বোচ্চ ফোরাম। আমি আশা করব পুলিশ ও প্রশাসন এই সমস্যা থেকে মুরাদনগরবাসীকে মুক্তি দিতে কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা আমার সাথে থাকেন, আর না থাকেন, আমি আমার বাবা-মায়ের মতো আজীবন আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ।