দেশের
৬৪ জেলায় স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে আটটি লার্নিং সেন্টার, একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ
কেন্দ্র ও আটটি আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সেশনজট ও পড়াশোনার ক্ষতি
কমাবে এই উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর
অগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর
কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২৬৮তম সিন্ডিকেট সভায় স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র,
আঞ্চলিক কেন্দ্র, লার্নিং সেন্টার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের মাধ্যমিক
(এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া পিএসসিসহ অন্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাও সেখানে
সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হবে।
পরীক্ষা চলাকালীন কলেজগুলোতে দীর্ঘসময়
ক্লাস বন্ধ থাকে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে। স্বতন্ত্র
পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হলে সেশনজট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধিভুক্ত কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের
বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী), টেকনাফ (কক্সবাজার), রাঙ্গামাটি, হবিগঞ্জ, তেঁতুলিয়া
(পঞ্চগড়), শ্যামনগর (সাতক্ষীরা), শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ও হাতিয়ায়
(নোয়াখালী) লার্নিং সেন্টার করা হবে।
অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকদের
প্রশিক্ষণের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং একাডেমিক ও
প্রশাসনিক কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের জন্য ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া,
ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় আঞ্চলিক
কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলেও জানিয়েছে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।