অবৈধ
সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে ১৫ বিচারকের তথ্য চেয়ে আইন,
বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৫
জনের এ তালিকায় আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) ও সিনিয়র
জেলা জজ বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল
করিম চৌধুরী ও সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) মোহাম্মদ
আসাদুজ্জামান নূরের নামও রয়েছে।
মূলত এ তিনজনের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এসব বিচারকের তথ্য চেয়েছে দুদক।
চিঠিতে
১৫ বিচারকের ‘পার্সোনাল ফাইল’, ‘ডেটাশিট’ ও সম্পদের বিবরণীর অনুলিপি
চেয়েছে দুদক। আগামী ২৯ এপ্রিলের এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জানালেও বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
নথি
চাওয়া অন্য বিচারকরা হলেন- শেখ গোলাম মাহবুব (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনাল, টাঙ্গাইল), মাহবুবুর রহমান সরকার (একই ট্রাইব্যুনাল,
কিশোরগঞ্জ), মনির কামাল (সাবেক জেলা জজ, সিলেট), তোফাজ্জল হোসেন (সাবেক
অতিরিক্ত সিএমএম, ঢাকা), মুশফিকুর ইসলাম (সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ, মাগুরা),
কাইসারুল ইসলাম (সাবেক সিএমএম, গাজীপুর) ও মোল্লা সাইফুল আলম (সাবেক চীফ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নড়াইল)।
তালিকায় ফারহানা ফেরদৌস (জেলা জজ,
ময়মনসিংহ), কামরুন নাহার রুমি (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল,
শেরপুর), গৌরাঙ্গ হোসেন (সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ, ঢাকা), মোহাম্মদ এরফান
উল্লাহ (সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, সিলেট) ও সাইফুল আলম চৌধুরীর
(জেলা ও দায়রা জজ, হবিগঞ্জ) নামও রয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের সমন্বয়ে একটি টিম এ অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
দুদকের
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার তৃতীয় মেয়াদে আইনমন্ত্রী হিসেবে
আনিসুল হক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিচার বিভাগে দুর্নীতি বাড়তে থাকে। তার
ঘনিষ্ঠ কিছু বিচারক ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির
সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
বিশেষভাবে বিকাশ কুমার সাহা, রেজাউল করিম ও
আসাদুজ্জামান নূর ঘুষ গ্রহণ, অসদাচরণ ও নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ
অর্জন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যা তারা নিজ অথবা পরিবারের সদস্যদের নামে
সংগ্রহ করেছেন।