ডিপিএলের ম্যাচে গত ১২ এপ্রিল শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ম্যাচ শেষেও তিনি আম্পায়ারদের নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখান। ওই ঘটনায় তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মোহামেডানের তরফে আপিল করা হয়েছিল। পরে তার শাস্তির মেয়াদ অনেকটা নাটকীয়ভাবে কমানো হয়। কিন্তু আম্পায়ার সৈকতের আপত্তিতে আবারও তার এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বহাল করা হয়।
মূলত হৃদয়কে খেলাতে টুর্নামেন্টের মাঝপথে বদলে যায় কোড অব কন্টাক্ট। সেদিন (রোববার) সুপার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে মাঠেও নেমেছিলেন হৃদয়। সেই সঙ্গে তিনি অধিনায়কত্বে ফেরেন। এরপর সেই ইস্যু’র জল গড়িয়েছে অনেকদূর। নতুন করে সেই এক ম্যাচের শাস্তি পুনঃবহাল হচ্ছে হৃদয়ের। কিন্তু এটিসহ তিনটি বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটাররা আজ (শুক্রবার) বসেছিলেন বিসিবি সভাপতির সঙ্গে। এরপরই হৃদয়ের শাস্তি এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলো বিসিবি।
এদিন সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, ‘গত ১৯ এপ্রিল আম্পায়ার্স কমিটির ইস্যুকৃত শাস্তি বাতিলের সেই সিদ্ধান্তের পর দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পুনঃবহাল করা হয়েছে। এর আগে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্তটি টেকনিক্যাল গাইডলাইন অনুসারেই দেওয়া হয়েছিল, সেটি এখনও বৈধ এবং এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক পরবর্তী আদেশটি (নিষেধাজ্ঞা বাতিল) অবৈধ হয়ে গেছে।’
হৃদয়ের শাস্তি বহাল হলেও সেটি এক বছর পর কার্যকর হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরবর্তী আদেশ অকার্যকর হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির পর সভা হয়েছে, যেখানে বিষয়টি আবারও বিবেচনায় নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি ম্যাচ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা কার্যকর হবে ১২ মাস পরে (পরবর্তী ডিপিএলের শুরুতে)।’
এদিকে, হৃদয়ের বাড়তি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) গাজী গ্রুপের বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচে। তবে নিষেধাজ্ঞা পেছানোয় এখন সেই ম্যাচে মোহামেডানের জার্সিতে নামতে হৃদয়ের সামনে আর কোনো বাধা নেই। তিনি তার এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করবেন পরবর্তী ডিপিএলের প্রথম ম্যাচে।
হৃদয়ের শাস্তির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তামিম
হৃদয়ের শাস্তি প্রত্যাহারের পর আবারও বহাল করা নিয়ে বিসিবিতে বৈঠকের পর তামিম বলেছিলেন, ‘প্রথমেই ২ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে সমস্যা ছিল না। এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পর দুই ম্যাচ খেলে আবার নিষিদ্ধ করা, এটা আসলে হাস্যকর ব্যাপার হয়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে সে দুটি ম্যাচ খেলল। মানে ওর শাস্তি ততক্ষণে পেয়ে গেছে। ২ ম্যাচ খেলার পর কাল শুনলাম তাকে আবারও নিষিদ্ধ করেছে। এটা কোন নিয়মে, কীভাবে করেছে আমার জানা নেই।’