গত
কয়েক বছর বাংলাদেশ টেবিল টেনিসে জুনিয়র পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করেছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে জুনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জায়গা করেছিল।
এবার সেই অর্জনের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি।
নেপালের কাঠমান্ডুতে চলছে
জুনিয়র সাফ টিটি টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে অ-১৯ বালক দলগত বিভাগে
বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ জিতেছে। এই ক্যাটাগরিতে ফাইনালে উঠলে বা রৌপ্য জিতলে
বাংলাদেশ জুনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগ পেত। গত বছর শ্রীলঙ্কার
কলম্বোতে বাংলাদেশ অ-১৯ বালক দল রৌপ্য জিতে জুনিয়র এশিয়ান কাপে খেলেছিল।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএম মাকসুদ আহমেদও নেপালে
রয়েছেন। তিনি কাঠমান্ডু থেকে বলেন, ‘আমরা জুনিয়র এশিয়ানে কোয়ালিফাই করতে
পারিনি। স্বল্প প্রস্তুতির মধ্যেও আমাদের খেলোয়াড়রা যথেষ্ট
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।’
দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের
কোচ মোস্তফা বিল্লাহ অ-১৯ বালক বিভাগেই ভালো কিছু আশা প্রত্যাশা করেছিলেন।
ব্রোঞ্জ পদক জিতলেও এশিয়ানে না খেলতে না পারা ব্যর্থতাই। ২০২২ সালে
মালদ্বীপে বাংলাদেশ এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিল।
স্বাগতিক নেপালের
পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ অংশগ্রহণ করছে।
ইতোমধ্যে অ-১৫ ও ১৯ দলগত বিভাগের খেলা শেষ। ব্যক্তিগত ইভেন্টের খেলা চলছে।
কোন ইভেন্টে বাংলাদেশ কেমন করছে ফেডারেশন ফলাফল প্রদান করেনি। এই সম্পর্কে
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ‘কমিটির প্রায় সবাই আমরা নতুন। আমরা
এগুলো সঙ্গে সঙ্গে মিডিয়াকে অবহিত করার ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে উঠব। আজই
ফলাফলগুলো প্রদানের চেষ্টা করব। ’
নেপালের কাঠমান্ডু সাফ জুনিয়র টিটি
টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে টেবিল টেনিস ফেডারেশন সংবাদ সম্মেলন করেছিল। গত
পরশু ২৪ এপ্রিল থেকে খেলা শুরু হলেও ফেডারেশন গণমাধ্যমে কোনো ফলাফল পাওয়া
যায়নি। অ্যাডহক কমিটি আসার পর টেবিল টেনিস ফেডারেশন সাংবাদিকদের জন্য একটি
মিডিয়া গ্রুপ করেছে। সেই গ্রুপে কোচ মোস্তফা বিল্লাহ গতকাল শুধু একক
ইভেন্টের ফিকশ্চার দিয়েছিলেন। টেবিল টেনিস ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি তাও
আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য প্রদানের চেষ্টা করছে।
বিগত কমিটির কর্মকর্তারা
অনানুষ্ঠানিকভাবে ব্যক্তিগতভাবে ফলাফল,ছবি প্রদান করতেন সাংবাদিকদের কাছে।
আবার কখনো সাংবাদিকরা সামাজিকমাধ্যমে সাফল্য দেখে উৎসুক হয়ে খবর সংগ্রহ
করত। শুধু টিটি নয় আরো অনেক ফেডারেশনই বিদেশ যাওয়ার আগে মিডিয়ায় ফলাও করে
অবহিত করলেও বিদেশে গিয়ে আর কোনো খোঁজ খবর দেয় না।