গত
২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয়েছে ইংলিশ
প্রিমিয়ার লিগ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর।
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম ম্যাচ ১৮ নভেম্বর। বাফুফে এই
ম্যাচটি হামজার জন্যই সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে চায় বাফুফে।
ওই
ম্যাচের আগেই আরেক প্রবাসী ফুটবলার কানাডা জাতীয় দলে খেলা শামিত সোমের
অভিষেক হতে পারে বাংলাদেশের জার্সিতে। আগামী ১০ জুন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শামিতকে খেলানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দেশের ফুটবলের
অভিভাবক সংস্থাটি।
হামজার মতো শামিত সোমও সিলেটের সন্তান। জাতীয় দলে যখন
হামজা-শামিত খেলবেন তখন সেই ম্যাচ সিলেটে হলেতো দারুণ হবে। এ ধারণা থেকেই
বাফুফে এখন থেকেই সিলেটে ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা শুরু করেছে। ভারতের বিপক্ষে
ম্যাচের আগে হংকংয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ আছে। হোম ম্যাচ ৯ অক্টোবর ও
অ্যাওয়ে ম্যাচ ১৪ অক্টোবর। ৯ অক্টোবরের ম্যাচটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন
আয়োজন করতে চায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে।
বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির
সদস্য ইকবাল হোসেন রোববার জানিয়েছেন, ‘হামজা ও শামিত সোমের কারণেই আমরা
চাইছি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে হোক। কম্পিটিশন কমিটি
থেকে আমরা নির্বাহী কমিটিকে এমন প্রস্তাব দেবো। সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাহী
কমিটি। আমাদের ইচ্ছা আছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ ঢাকার বাইরে করতে
চাই। একটি সিলেটে, আরেকটি চট্টগ্রামে।’
এই মাঠ দুটির সর্বশেষ অবস্থা
জানাতে গিয়ে ইকবাল হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাঠটা আগে আমরা দেখে এসেছি।
এএফসির চাহিদা অনুযায়ী যা করার বাফুফে করবে। এএফসির প্রতিনিধি দলতো আসবে।
আমরা ভেন্যুর প্রাথমিক তালিকায় নামগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি। গত শুক্রবার সিলেট
স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছি। মাঠের কন্ডিশন ভালো। আপনারা জানেন, সিলেটে
বৃষ্টি একটু বেশি হয়। এখন কোনো লিগ হচ্ছে না। তাই মাঠের ঘাস একটু বড়। আমি
মনে করি, সিলেটের মাঠের যে অবস্থা এখানে ম্যাচ আয়োজন সম্ভব।’
সিলেটে
জেলা স্টেডিয়ামের মাঠে ক্রিকেট পিচ আছে। এটা তো সমস্যা তাই না? জবাবে ইকবাল
হোসেন বলেন, ‘এটা একটা প্রতিবদ্ধকতা। আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, সিলেটে
ডিএফএ সবার সাথে বসেছিলাম। আমাদের জানানো হয়েছে সামনে দ্বিতীয় বিভাগ লিগ
আছে। তার আগেই এই পিচ তুলে ঘাস লাগানো হবে। আরেকটা সমস্যা ফ্লাডলাইট।
বিদ্যুৎ বিল বাকি পরেছে। এ নিয়ে তারা জেলা প্রশাসকের সাথে সভা করেছেন। জেলা
প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন সমস্যার সমাধান দেওয়ার। আমরা বলে এসেছি, এই সমাধান
হলে সিলেট স্টেডিয়ামের নাম ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব দেবো।’
সিলেটে ম্যাচ
হলে দর্শক ব্যাপক সাড়া দেবে বলে মনে করছেন বাফুফের এই কর্মকর্তা ‘বিগত
দিনে সিলেটে যে ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে তখন প্রচুর দর্শক হয়েছে। আগামীতে
হামজা, শামিত সোমের সাথে আরো কিছু খেলোয়াড় থাকলে সেটা সিলেটবাসীর জন্য
বাড়তি পাওয়া হবে।’
এএফসির একটা শর্ত গ্যালারিতে চেয়ার থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে তো সেটা নেই। তাহলে সেখানে কিভাবে ম্যাচ আয়োজন
সম্ভব? ইকবাল হোসেন বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে গ্যালারিতে চেয়ার বসানোর
উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অচীরেই চেয়ূার বসানোর কাজে হাত দেবো। কেবল জাতীয় দলের
না, বয়সভিত্তিক কিছু ম্যাচ চট্টগ্রামে আয়োজনের আশা আমাদের আছে।’
৫ জুন
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে
বাফুফে। যদিও এখনো প্রতিপক্ষ পাওয়া যায়নি। শোনা গিয়েছিল আফ্রিকার দেশ সুদান
খেলতে আসবে। তবে এই দেশটি এরই মধ্যে না করে দিয়েছে। এখন বিকল্প খুঁজছে
বাফুফে। জাতীয় দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ভারত ম্যাচের পর ছুটিতে
গিয়ে ফিরেছিলেন গত ২২ এপ্রিল। এসেই তিনি দেখতে গিয়েছিলেন ময়মনসিংহ
ফেডারেশন কাপের ফাইনাল। দেখেছেন শনিবার কুমিল্লায় মোহামেডান ও আবাহনীর
প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচও। হঠাৎ করেই ক্যাবরেরা ছুটি নিয়ে স্পেন গেছেন।
এ
বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন,'কোচ শনিবার কুমিল্লা থেকে এসে রাতেই
আকস্মিক ছুটি নিয়ে দেশে গেছেন। তার বাবার অসুস্থতার খবর পেয়েই হঠাৎ ছুটি
নিয়েছেন। পারিবারিক সমস্যা হলে তো যেতেই হবে তাই না। আশা করছি, দ্রুতই তিনি
ফিরে আসবেন।'