জুলাই-আগস্ট
গণঅভ্যুত্থানের পর নাজমুল হাসান পাপনের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বিসিবি
সভাপতির আসনে বসেন ফারুক আহমেদ। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বিসিবির
ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সভাপতি হয়েছিলেন। এ ছাড়া প্রধান নির্বাচকের
দায়িত্বভারও সামলেছিলেন একটা সময়। পাপন পরবর্তী যুগে তার কাছে প্রত্যাশাও
ছিল আকাশছোঁয়া।
তবে প্রতিনিয়ত বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ক্রীড়ামোদিদের
চক্ষুশূল হচ্ছেন। অবস্থা এতটাই বেগতিক, দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র আট মাসেই
অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন ফারুক। এর মধ্যেই আজ (রোববার)
রিমার্ক-হারল্যানের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রতিনিয়ত শেখার কথা বললেন বিসিবি
সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রতিনিয়তই শিখছি এবং চেষ্টা করছি। বোর্ড
সভাপতি হিসেবে আমার কিছু ভুল হতে পারে। তবে আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি তবে
নিশ্চয়ই দারুণ কিছু উপহার দিতে পারবো।’
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল
অ্যাসোসিয়েশন (বিহা) আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ‘অরিক্স প্রেজেন্টস বিহা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (বিসিএল) ২০২৫’ পাওয়ার্ড বাই লিলি-এর ট্রফি উন্মোচন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্প্রতি সময়ে ক্রিকেটে
রিমার্ক-হারল্যানের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায়
অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা আশা করি
রিমার্ক-হারল্যান আগামীতে ক্রিকেটে আরো বড় ভূমিকা পালন করবে।
প্রসঙ্গত,
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে প্রায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন
ফারুক আহমেদ। বিপিএলে স্পট ফিক্সিং ইস্যু, বিতর্কিত ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়োগ
এবং সর্বশেষ এফডিআরের টাকা স্থানান্তর নিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া
সম্প্রতি প্রিমিয়ার লিগে তাওহিদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু ও তামিম ইকবালের
চাপ প্রয়োগের মতো ঘটনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিসিবি সভাপতি।