‘রাজনৈতিক
হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশের সিদ্ধান্ত
হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গঠিত কমিটির ১২তম সভায় এ
সিদ্ধান্ত হয় বলে আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। আইন,
বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে এ সভা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৯ সালের ৬
জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’
মামলা প্রত্যাহারের জন্য কমিটির সুপারিশ করা মামলাগুলোর তালিকা ওয়েবসাইটে
প্রকাশ করবে।
এদিন সভায় আরও ৫১৭টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে
কমিটি। এ নিয়ে চার মাসে মোট ৮ হাজার ৮৩২টি রাজনৈতিক ‘হয়রানিমূলক’ মামলা
প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হল।
সভায় জানানো হয়, এসব মামলার প্রতিটিতে গড়ে কমপক্ষে ৫০ জন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় পাঁচ লাখ নেতাকর্মী আসামি ছিলেন।
আইন
মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগে বা
ংড়ষরপরঃড়ৎ.ষধলিঁংঃরপবফরা.মড়া.নফ ই-মেইলে সরাসরি আবেদন করেও মামলা
প্রত্যাহার করা যাচ্ছে।
মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের ‘সার্টিফাইড কপি’
সংগ্রহে সমস্যা হলে মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের সঙ্গে এজাহার ও
অভিযোগপত্রের ‘সার্টিফাইড ফটোকপি’ও দাখিল করা যাবে বলে কমিটি সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য কারণে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী,
নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহারের’
সুপারিশ করার জন্য দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
এর মধ্যে একটি জেলা
পর্যায়ের কমিটি, আরেকটি মন্ত্রণালয়ের। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চার
সদস্যের জেলা কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট।
এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন পুলিশ সুপার (মহানগর
এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার), পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর
এলাকার মামলাসমূহের জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)।
আইন উপদেষ্টার
নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি ছয় সদস্যের। এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
সদস্য হিসেবে কমিটিতে
আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত
সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), যুগ্মসচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়)।
কমিটির সদস্য-সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব।
মাঠ পর্যায়ের কমিটি যাচাই বাছাইয়ের পর মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়।