ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনয়ন এবং যানজট নিরসনে
আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ, মিয়াবাজার
হাইওয়ে পুলিশ ও উপস্থিত জনতা অভিযানে প্রশাসনকে সহায়তা কনে। শনিবার রাতে
উল্টোপথে চলাচলের কারণে ‘গাড়ি’ আধা ঘন্টা কাত করে ভিন্নরকম শাস্তি প্রদান
করেন ইউএনও মোঃ জামাল হোসেন।
জানা গেছে, প্রতিদিন মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম
বাজারে পুরাতন সড়কে উল্টো পথে মোটর সাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটর চালিত
রিকশাসহ ত্রি-হুইলার উল্টো পথে চলাচল করে। বিশেষ করে প্রতিদিন বিকেলে উল্টো
পথে ছোট যানবহন চলার কারণে রাত পর্যন্ত বাজারে যানজট লেগে থাকে। এতে
চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দুর্ভোগ কমাতে প্রশাসন ঈদের সময়
স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে
আবারও পূর্বের চিত্রে ফিরে যায় মহাসড়ক। ইউএনও মোঃ জামাল হোসেন শনিবার রাতে
উল্টো পথে চলাচল এবং দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি করার দায়ে ২টি সিএনজি অটোরিকশা,
একটি মোটর চালিত রিকশা ও ৩টি অটোরিকশার সংশ্লিষ্ট ড্রাইভারকে স্ব-স্ব
যানবাহন রাস্তার পাশে ৩০মিনিট কাত করে রাখার নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়া
চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় এবং সিএনজির রেজিষ্ট্রেশনসহ প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র না থাকায় ১টি সিএনজি অটোরিকশা হাইওয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা
হয়।
এরআগে হাইওয়ে পুলিশ অভিযান চালালে গাড়ি নিয়ে চালকদের থেকে মোটা
অঙ্কের জরিমানা বা উৎকোচ নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিতো। এতে ছোট যানবাহনের চালকরা ঋণ
নিয়ে পুলিশের টাকা পরিশোধ করতে হতো। এমনিতে ছোট যানবাহনের চালকরা ভাড়ায়
গাড়ি চালিয়ে কোনরকম সংসার পরিচালনা করছে। তবে এবার উপজেলা প্রশাসন ভিন্নরকম
শাস্তিতে দেয়ায় নেটিজেনরা প্রশংসা করছেন ইউএনও মোঃ জামাল হোসেনের।
ইউএনও
মোঃ জামাল হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লেখ করেন, ‘মহাসড়কে পাশে
উল্টিয়ে বা কাত করে রাখার উদ্দেশ্য হলো যাতে অন্যরা দেখে সচেতন হয় এবং
মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চালানো থেকে বিরত থাকেন। যেহেতু প্রতিদিন বা
সার্বক্ষণিক এমন অভিযান পরিচালনা করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না, সেহেতু
চৌদ্দগ্রামের উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় জনগণের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি
প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ ‘নাগরিক দায়িত্ব’ পালনের অংশ হিসেবে
সম্মিলিতভাবে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান’।