লিবারেল
ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন- আমি
ব্যক্তিগত ভাবে নির্বাচন করলেও চান্দিনাতে আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে
পারে এমন শক্তি নেই। কেন্দ্রীয় ভাবে আমরা এখনও বিএনপি’র সাথেই তাল মিলিয়ে
কাজ করছি। বিএনপি যে কার্যক্রম করতে এখনও আমাদের ডাকেন। কিন্তু চান্দিনার
স্থানীয় বিএনপি থেকে আমি কোন প্রকার সহযোগিতা পাইনা।
দৈনিক কুমিল্লার
কাগজের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিবারেল ডেমোক্রেটিক
পার্টি (এলডিপি) মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী
ছাত্ররা কোটা আন্দোলন করে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে সরানোর মতো কোন
শক্তি ছিল না। বিএনপি, এলডিপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা না রাখলে ৫ আগষ্ট সৃষ্টি হতো না।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা
করে তিনি বলেন- অন্তর্বর্তী সরকারে জনগণের সাথে কোন জনসংযোগ নেই, জনগণের
সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নাই, তাদের কোন ভিত্তিও নাই। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার
গোটি কয়েকজন মানুষ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছেন।
বিএনপি ছেড়ে
এলডিপি গঠন সম্পর্কে ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন- ২০০৬ সালে স্বাধীনতার সপক্ষের
বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের নেতা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি গঠন
করে। সে সময় আমিও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ছিলাম। পরবর্তীতে আমাকে এলডিপি’র
মহাসচিব করা হয়। ইতোমধ্যে ৫৪টি জেলায় এলডিপি’র জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে।
এলডিপি সত্যবাদী ও প্রতিবাদী কন্ঠ হিসেবে স্বীকৃত।
কুমিল্লায় কি এলডিপি
সেভাবে বিস্তৃত হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- কুমিল্লায় এলডিপি সেভাবে
বিস্তৃত ঘটেনি এটা সত্য। তবে কেউ যদি পরিচ্ছন্ন রাজনীতির মানসিকতা নিয়ে
আমাদের দলে আসে অবশ্যই আমরা তাকে মূল্যায়ণ করবো।
স্থানীয় ভাবে বিএনপি’র
সাথে আপনাদের দূরত্ব আছে কিনা? এমন প্রশ্নে এলডিপি মহাসচিব বলেন- ২০১২
সালে বেগম খালেদা জিয়া আমাদেরকে ডেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জোট
গঠন করে সে সময় থেকে আমরা বিএনপি’র সাথেই সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাই।
পরবর্তীতে বিএনজি জোট ভেঙ্গে দিলেও বিএনপি’র সাথে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করি।
কিন্তু চান্দিনার বিএনপি কখনও আমাদের সহযোগীতা করেন নাই। আমি আশা করবো
স্থানীয় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে।
১৯৭৯ সালে
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র ২৭ বছর বয়সে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে
চান্দিনার উন্নয়নে শিক্ষার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে ৩টি কলেজ, ৭টি উচ্চ
বিদ্যালয় গড়ে তুলি। আগামীতে কখনও আমি সুযোগ পেলে চান্দিনার যোগাযোগ
ব্যবস্থাসহ সকল উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।
সে সময়ের রাজনীতি এবং বর্তমান
রাজনীতিতে পার্থক্য কি দেখছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- রাজনীতি এক সময়
রাজনৈতিক ভাবেই বিবেচিত হতো। বর্তমান রাজনীতি ব্যক্তি পর্যায়ে শত্রুতায় রূপ
নেয়। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে অরাজনৈতিক নেতা ডা. প্রাণ গোপাল এর অনেক
অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এ চান্দিনার মানুষ। রাজনৈতিক
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে তারা শত্রুতায় পরিণত করেছে।