কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আইকিউএসি (ওছঅঈ) কর্তৃক “ World Intellectual Property Day-2025’’ বিষয়ক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯
এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে কর্মশালাটি
অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসাবে
ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। এছাড়া
উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির এসকিউএসি’র উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার
মোহাম্মদ মনির উল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন আইকিউএসি-র পরিচালক
অধ্যাপক ড.খলিফা মোহাম্মদ হেলাল এবং কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন
আইকিউএস-র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
কর্মশালাটি
পবিত্র কুরআন পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল।
কর্মশালা শেষ হয় টেকনিক্যাল বিষয়ক কর্মশালার মধ্য দিয়ে।
প্রধান অতিথি
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনের জমি-জমা,
বাড়ী-গাড়ি যেমন সম্পদ তেমনি ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি (আইপি) এক ধরনের
সম্পদ। ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি দিবস উপলক্ষে আমরা উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের
অবদান উদযাপন করছি উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সীমানা অতিক্রম করে পেটেন্ট,
ট্রেডমার্ক, কপিরাইট ইত্যাদি আইপি অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে।
আইপি অধিকার এমন একটি উপায়, যার মাধ্যমে গবেষক, উদ্ভাবক, ব্যবসা, ডিজাইনার,
শিল্পী ও অন্যরা তাদের উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল ফলাফলকে আইনত রক্ষা এবং তা
থেকে অর্থনৈতিক লাভ নিশ্চিত করতে পারেন। একটি সুষম আইপি সিস্টেম উদ্ভাবকদের
কাজের জন্য স্বীকৃতি দেয়, পুরস্কৃত করে এবং নিশ্চিত করে-সমাজ তাদের
সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন কুশলতা থেকে উপকৃত হয়।
ট্রেজারার প্রফেসর ড
মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি (আইপি) একটি সম্পদ, এটি
আমাদের মানবাধিকার। মানবাধিকারের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, আমার সৃষ্ট
কোনো শিল্পকর্ম বা আমার সাহিত্য বা আমার সৃষ্ট কোনো বিজ্ঞান নির্ভর বা
মৌখিক কোনো বিনোদন যেকোনো কিছুর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং এই অধিকার নিয়ে
যদি সচেতনতা না থাকে তাহলে কিন্তু সেটা কালের বিবর্তনে অন্যের অধিকারে
পরিণত হয়। আমাদের সচেতনতার জন্য এরকম দিবসের উদযাপন করা একটা ভালো উদ্যোগ।
বৈশ্বিকভাবে এ বিষয়গুলো অনেক বেশি সমাদৃত এবং সুপ্রতিষ্ঠিত। বিশেষ করে
আমাদের বাংলাদেশে গবেষণার প্রতি চর্চার অভাব থাকার কারণে আমরাও বেশি তৎপরতা
দেখাই না। আমাদের নিজস্ব সৃষ্ট কর্মগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে প্রসারের জন্য
মেধাসত্ত্বের প্রয়োগ থাকা দরকার। আমাদের নিজস্ব অজ্ঞতা এবং অসচেতনতার কারণে
তা হচ্ছে না। আমরা যদি সচেতনতা ক্যাম্পেইন করি, সচেতনতা তৈরি করে নিজেরা
ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি, তাহলেই অধিকার
প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এলাকা ভিত্তিক যে প্রোডাক্ট গুলো উদপাদন হয়, সেগুলোর একটা
আলাদা বৈচিত্র্য রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কিছু ছাত্র তারা আমাদের
দেশের লোকাল প্রোডাক্ট গুলোকে বাণিজ্যিক প্রসারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
পরিশেষে, ইউজিসির এসকিউএসি’র উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মনির উল্লাহ টেকনিক্যাল বিষয়কসহ বিভিন্ন বিষয়ে কর্মশালা পরিচালনা করেন।