সাক্ষাৎকারে
রাব্বুর রেজা আরও জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠান সরকারি টিকাদান কর্মসূচির
বাইরে বেসরকারিভাবে বাজারে বিক্রির জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে
প্রায় ৩০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা কিনছে। এর প্রতি ডোজের জন্য সেরাম
ইনস্টিটিউটকে আট ডলার করে পরিশোধ করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
সরকারকে দেওয়ার জন্য বেক্সিমকো সেরাম থেকে যে টিকা আনছে, এটি তার দামের
প্রায় দ্বিগুণ।রাব্বুর
রেজা জানান, বেসরকারিভাবে তারা যে ৩০ লাখ ডোজ টিকা বিক্রির পরিকল্পনা
করছেন এর মধ্যে ১০ লাখ ডোজের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখন আরও
২০ লাখ ডোজ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে তার প্রতিষ্ঠান। তিনি জানান, ২০২০
সালের আগস্টে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের
উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো
ফার্মাসিউটিক্যালস। এর বাইরে বায়োলোজিক্যাল ই ও ভারত বায়োটেকের মতো
ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা
হয়েছে। সরকার চাইলে বেক্সিমকো অন্যান্য টিকার বিষয়েও আলোচনা এগিয়ে নেবে।উল্লেখ্য,
সেরামের কাছ থেকে এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা সংগ্রহের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি
করেছে ভারত। ভারতের কাছে তারা প্রতি ডোজের দাম রাখছে ২ দশমিক ৭৩ ডলার। তবে
বাংলাদেশের কাছে প্রতি ডোজের দাম রাখা হচ্ছে চার ডলার করে। বাংলাদেশি
মুদ্রায় এর দাম পড়বে প্রায় ৩৪০ টাকা। রয়টার্স বলছে, সেরামের কাছে ভারত যে
মূল্যে এই টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সেই মূল্য প্রায় দেড়গুণ (৪৭ শতাংশ)
বেশি।বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৩০২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮০৩ জনের।