ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৌরসভা নির্বাচনে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই খুনের ৫
ঘণ্টা পর কুমার নদ থেকে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন খান
বাবুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১টার দিকে উপজেলার দেবতলা-বারইপাড়া এলাকার কুমার নদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আলমগীর খান শৈলকুপা পৌরসভা এলাকার কবিরপুর গ্রামের জালাল আহম্মেদ খানের
ছেলে এবং আসন্ন শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর
প্রার্থী ছিলেন। তিনি পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে লড়ছিলেন।
শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে
প্রচারণাকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরপুর এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী
শওকত হোসেন ও আলমগীর হোসেন খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় শওকত আলীর ছোট ভাই লিয়াকত আলী বল্টুসহ ছয়জন আহত হন। আহতদের মধ্যে
লিয়াকত আলী বল্টু কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান নিহতের স্বজনরা।
এ ঘটনার ৫ ঘণ্টা পর পাশের কুমার নদ থেকে একই ওয়ার্ডের প্রতিপক্ষ
কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন খান বাবুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার সাঈদ বলেন, কী কারণে এ
প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে তা জানতে সময় লাগবে। তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় এখন
পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
এদিকে জেলা নির্বাচন অফিসার রোকুনুজ্জামান জানান, জোড়া খুনের ঘটনায়
নির্বাচন বন্ধ হবে না। শুধু ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে না।
শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে
প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে। দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় এখন এলাকায় টান
টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।