ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ভাষা শহীদদের স্মরণ
Published : Saturday, 20 February, 2021 at 2:08 PM
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ভাষা শহীদদের স্মরণবাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠানের সমাপনী সম্পন্ন হয়। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং অমর একুশের চেতনা সুপরিচিত করার প্রয়াসে বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির সম্মিলনে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।

কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনের জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অফ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, টেলর ইউনিভার্সিটি, মালায়া এবং পর্যটন, কলা ও সংস্কৃতি মালয়েশিয়ার (এমওএটিসি) সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, মালয়েশিয়ার পর্যটন, কলা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী দাতুশ্রী হাজাহ ন্যান্সি শুকরি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন মাতৃভাষার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র বৃদ্ধি এবং আন্তঃসংস্কৃতিক সংলাপসহ সকলকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক মনে করিয়ে দেয়ার এক উপযুক্ত উপলক্ষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ এর এই শুভ উপলক্ষে এটি আন্তঃসীমান্ত বহুভাষিক কর্মসূচি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভাষা ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সেতু হিসেবে কাজ করবে।’

অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে মন্ত্রী পর্যায়ের বক্তব্য শেষে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলা ও মালয় ভাষায় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ শিরোনামের একটি গান পরিবেশিত হয়। মালয়েশিয়ার টেলর ইউনিভার্সিটির এক্সিকিউটিভ ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান ব্যবস্থাপনা অনুষদের প্রফেসর ডা. নীথিয়াহেন্থান এরি রগভান এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি, মালয়েশিয়ার পর্যটন, কলা ও সংস্কৃতিমন্ত্রী দাতুশ্রী ন্যান্সি শুকরি এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রথমদিনের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন।

তিনি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সংরক্ষণের অনুবাদক হিসেবে ভাষা সংরক্ষণ ও সংরক্ষণের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে বিশ্বব্যাপী উদযাপনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এর গুরুত্বকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার উপর জোর দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফকরুল আলম, মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি অফ মালয় স্টাডিজের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. সালিনা বিনতি জাফার, ইউনেস্কোর এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনাল ব্যুরো অব এডুকেশনের ডিরেক্টর মি. শিগেরু আয়াগি বক্তা প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়াও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও মানবিক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম এবং টেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডজান্ট প্রফেসর ড. ওয়ান জাওয়াই ওয়ান ইব্রাহিম আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার এবং বাংলাদেশে অবস্থিত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মিসেস হাজনা মো. হাশিম অংশ নেন। আলোচনা শেষে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়াার লাইভ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের মতো দেশগুলো রেকর্ড করা ভিডিওর দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার পাশাপাশি ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের পারফরম্যান্স উপস্থাপন করা হয় এদিন। এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাাতিক মাতৃভাষা দিবস মালয়েশিয়ায় ইউনেস্কো কর্তৃক যথাযথভাবে পালন করা হবে বলে দূতাবাস সূত্রে গেছে।