ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুয়াকাটা সৈকতে বালুর ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস
Published : Monday, 15 March, 2021 at 7:17 PM
কুয়াকাটা সৈকতে বালুর ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাসবঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এবং জন্মশতবর্ষ উদযাপনে কুয়াকাটা সৈকতে নির্মাণ করা হয়েছে বালুর ভাস্কর্য। সৈকতের জিরোপয়েন্টের কোলঘেঁষে পূর্বপাশে প্রায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রশস্ত এ ভাস্কর্যে রয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।

পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে নির্মিত এ ভাস্কর্যটি ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিন প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে। এসব তথ্য পটুয়াখালী জেলা পুলিশের।

খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৬ শিক্ষার্থী গত ৯ মার্চ মঙ্গলবার থেকে দিন-রাত পরিশ্রম করে ইতোমধ্যে বালু দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন বালুর ভাস্কর্যটি। বাম দিকে '৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ডান পাশে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন দিয়ে শেষ করা হয়েছে। এর মধ্যখানে বাংলাদেশের মানচিত্রের ভেতর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বসানো হয়েছে।

ভাস্কর্যের নিচের দিকে বালু দিয়ে লেখা রয়েছে- ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, আমার সোনার বাংলা, জয় বাংলা, আমার মায়ের ভাষা, রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ ইত্যাদি। প্রথমবারের মতো কুয়াকাটা সৈকতে নির্মিত বালুর ভাস্কর্যটি দেখতে ইতোমধ্যে ভিড় করতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ পর্যটক ও নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকার লালবাগ থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক লায়লা আঞ্জুমান (৪০) যুগান্তরকে বলেন, প্রতি বছরই এখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আসা হয়। আগে যা দেখেছি তা নষ্ট হয়ে গেছে। এবার এসে দেখলাম সৈকতে বালু দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে; যা নতুন করে জানতে সাহায্য করবে এ প্রজন্মকে।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক ও কুয়াকাটা পৌর কাউন্সিলর মজিবর রহমান বলেন, এমন ভাস্কর্য কুয়াকাটা সৈকতে স্থায়ীভাবে করা গেলে পর্যটনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ভাস্কর্য দেখতে আসা স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুস সাত্তার ফরাজী বলেন, ভাস্কর্যে '৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরার বিষয়টি খুবই ভালো লেগেছে। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

ভাস্কর্য নির্মাতা দলের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সানি কুমার দাস নিলয় যুগান্তরকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে রাজশাহী ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা ছয়জন শিক্ষার্থী দিন-রাত সমানতালে পরিশ্রম করে এ ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছি।

ভাস্কর্য নির্মাতা দলের প্রধান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী অনুপম ধর বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে এ কাজটি শুরু করে আজ  সোমবার প্রায় শেষ করেছি।