মাঝপদ্মার প্রবল স্রোতে হঠাৎ পিকনিকের একটি ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এ সময় ৩৫ যাত্রীসহ ট্রলারটি আটকা পড়ে নদীতে। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। পরে তাদের সবার জীবন রক্ষা করতে সক্ষম হন ঈশ্বরদী থানা ও নৌপুলিশ সদস্যরা।
শনিবার রাত ১০টার দিকে পিকনিক শেষে ট্রলারে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন এলাকা থেকে লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কিছুটা উজানে হঠাৎ করে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এ সময় মাঝিরা ট্রলারটিকে মাঝ নদীতেই নোঙর ফেলে আটকানোর চেষ্টা করলেও নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় তা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঘুরতে থাকে।
এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। ট্রলার থেকে মোবাইলে বিভিন্ন পরিচিতজনের মোবাইলে জানানোর পর পুলিশ খবর পায়।
রোববার সকালে পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা রাত ১১টার দিকে খবর পেয়ে নদীর তীরে যাই; এবং উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করি। নৌপুলিশসহ আমরা ২১ জন ছিলাম। স্থানীয় জেলেসহ স্বল্পসময়ে ট্রলারটি দড়ি বেঁধে টেনে তীরে আনতে সক্ষম হই।
অদূরেই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালনশাহ সেতু থাকায় যে কোনো সময় স্রোতের টানে ট্রলারটি তাতে প্রচণ্ড বেগে ধাক্কা লেগে ভেঙে যাওয়াসহ হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত।
এ পরিস্থিতি খবর পেয়ে দ্রুত ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও নৌপুলিশের সাহসী একদল সদস্য স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় পিকনিক টিমের সব সদস্যকে নিরাপদে ডাঙ্গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হন।
ডাঙ্গায় ফিরতে পেরে যেন জীবন ফিরে পাওয়ার আনন্দবোধ করেছেন তারা।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ সবসময়ই মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে।