রমিজ রাজা, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিত এক নাম। যতটা না সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে, তার চেয়ে বেশি ধারভাষ্যকার হিসেবে। কারণ, ধারাভাষ্যের জন্য মাইক্রোফোন হাতে নিলেই বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বের হয়ে আসে তার মুখ থেকে।
সেই রজিম রাজা নাকি এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। তারা জানাচ্ছে, পিসিবির পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
১৯৯২ সালে বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সতীর্থ ছিলেন তিনি। এক সময় ছিলেন পাকিস্তান দলের অধিনায়কও। সাবেক এই ক্রিকেটার বর্তমানে পুরো ক্রিকেটবিশ্বের কাছে এক প্রসিদ্ধ ধারাভাষ্যকার হিসেবেই।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান নিজেই নাকি চাচ্ছেন রমিজ রাজাকে পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিতে। পাকিস্তান মিডিয়ায় যে খবর বেরিয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান মানির সময় আর বাড়াতে নারাজ ইমরান খান। কারণ, এহসান মানির পারফরম্যান্সে তিনি সন্তুষ্ট নন। যদিও পাকিস্তান মিডিয়ার কাছে এ বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো কথা বলেননি রমিজ রাজা।
গঠণতন্ত্র অনুসারে পিসিবির চিফ-অব-প্যাট্রন থাকেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সে হিসেবে এখন এই দায়িত্ব রয়েছে স্বয়ং ইমরান খানের হাতে। আর সেপ্টেম্বর মাসের শেষেই পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে এহসান মানির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। পাকিস্তান মিডিয়ায় যে খবর বেরিয়েছে, তাতে আর কয়েকদিনের মধ্যেই ইমরান খানের পক্ষ থেকে দু’টি নাম পিসিবির গর্ভনিং বডির কাছে প্রস্তাব করা হবে। যাদের মধ্যে একজনকে সদস্যরা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেবেন।
তবে দু’জনের মধ্যে একজন সদস্য হিসেবে রামিজ রাজার নাম সামনে এলেও এখনও কোন কিছু নিশ্চিত নয়। প্রথম দিকে এহসান মানি এবং আসাদ আলি খান, একজন সিনিয়র আমলার নাম সামনে এলেও পরবর্তীতে ইমরান খানের ইচ্ছায় ছবি অনেকটাই বদলে গেছে।
সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যের কারণে মানিও তার সময়কাল বৃদ্ধির পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু এহসান মানি এটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সাবেক উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফের একটি টুইটের কারণেই এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও, বিষয়টা সঠিক নয়। অন্যদিকে পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান নাজম শেঠি ব্যর্থতার জন্য খুব দ্রুত এহসান মানি এবং প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খানের পদত্যাগ দাবি করেছেন। না হয়, তাদের দু’জনকে বহিস্কার করার জন্য দাবি উত্থাপন করেছেন।
রামিজ রাজার নাম সামনে চলে আসার কারণ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার যোগাযোগ খুব ভাল। তাই অনেকেই রামিজ রাজাকে নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে রাখছেন।