Published : Friday, 3 September, 2021 at 12:00 AM, Update: 03.09.2021 1:35:03 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
কুমিল্লার মুরাদনগরে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপন না পেয়ে শিশু আবদুর রহমান (৫) হত্যার মুল আসামী শাহীন খানকে (২১) বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামসুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
গত বুধবার রাতে তাকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ফ্লাইওভারের নীচ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের বোরারচর গ্রামের ছালামত খানের ছেলে। সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৬ মাস পলাতক ছিল।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে জাহাপুর ইউনিয়নের বাখরাবাদ গ্রামের নিজ ঘর থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় অপহরণ হয় শিশু আবদুর রহমান। ঘটনার সময় বাবার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায় অপহরণ কারীরা। এ ঘটনায় বাবা ফারুক মিয়া পরদিন মুরাদনগর থানায় একটি জিডি করেন। অপহরণের কিছুদিন পর শিশুটির পিতা ফারুক মিয়ার মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রীর নম্বারে ফোন করে ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে পঞ্চাশ লাখ টাকা দাবি করেন অপহরণকারীরা।
তারই জের ধরে ২৯ মার্চ সোমবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ছদ্মবেশে মুক্তিপণের টাকা দিতে বাখরাবাদ এলাকায় অপহরণ চক্রের দেয়া ঠিকানায় যান। পরে সেখান থেকে মুক্তিপণের সর্বশেষ দাবিকৃত ৪ লাখ টাকা নিতে আসে অপহরণকারী চক্রের সদস্য ময়নাল মিয়া। টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ময়নাল মিয়াকে ধরে ফেলে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই রাতেই অপহরণের পর হত্যার সাথে জড়িত নাজমুল হাসান ও রবিউল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামীদের দেওয়া তথ্যমতে ২৯ মার্চ সোমবার রাতেই উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের বোড়ারচর গ্রামের ফুফা ময়নাল মিয়ার ফসলি জমি থেকে ওই শিশু আব্দুর রহমানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে মুল আসামী শাহীন খান দীর্ঘদিন পলাতক ছিল।
মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, শিশু আব্দুর রহমান অপহরণের পর ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপন চেয়ে না পেয়ে হত্যার মূল আসামী শাহীন খানকে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।