জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহার করে বাইরের দেশে আর কোনও প্রকল্প বানাবে না চীন। বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোতে কয়লা প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে চীন। বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে এসব দেশে বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে এসব প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের চাপ রয়েছে।
সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ‘অন্য উন্নয়ন দেশগুলোতে সবুজ এবং কম কার্বন নিঃসরণকারী শক্তির উন্নয়নে সহায়তা বাড়াবে চীন আর বিদেশে কোনও কয়লা চালিত প্রকল্প তৈরি করবে না।’
চীনা প্রেসিডেন্ট বিস্তারিত কিছু না জানালেও আশা করা হচ্ছে এই ঘোষণার ফলে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় বহু উন্নয়নশীল দেশে কয়লা কেন্দ্রের সম্প্রসারণ সীমিত হয়ে পড়বে।
বিআরআই-এর আওতায় চীন বেশ কিছু দেশে রেল, সড়ক, বন্দর এবং কয়লা কেন্দ্রে বিনিয়োগ করছে। এসব দেশের অনেকগুলোই উন্নয়নশীল। গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০২১ সালের প্রথমার্ধে বিদেশের কোনও কয়লা প্রকল্পে বিনিয়োগ করেনি চীন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ চীন। অভ্যন্তরীণ জ্বালানির জন্য তারা বিপুলভাবে কয়লার ওপর নির্ভরশীল। গত বছরের প্রতিশ্রুতি আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে শি জিনপিং বলেন, ২০৩০ সাল চীন কার্বন নিঃসরণের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাবে এরপর তারা নিঃসরণ কমাতে শুরু করবে আর ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন করবে।
চীনা প্রেসিডেন্টের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু দূত জন কেরি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানতে পারা আনন্দের বিষয়।’